Thank you for trying Sticky AMP!!

কোহলিকে জোর করেও বিশ্রাম নেওয়ানো যায় না!

কোহলির কারণেই ভারত বিশ্বের অন্যতম ফিট দল। ছবি: এএফপি
বিরাট কোহলির শরীর-সচেতনতার কথা নতুন কিছু নয়। গত দুই বছরে খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত শরীরচর্চা করার ব্যাপারে ভারত অধিনায়ক নিজেকে বিন্দুমাত্রও ছাড় দেননি


নিজের শরীর ও ফিটনেস নিয়ে ঠিক কতটা সচেতন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি?

সদ্য সাবেক হওয়া ভারতের ফিটনেস ও কন্ডিশনিং কোচ শংকর বসু একটা ধারণা দিয়েছেন। শংকরের চোখে, ফিট থাকার প্রতি কোহলির বাতিক ‘অস্বাভাবিক’। দুই বছর ধরে খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার জন্য বেঁধে দেওয়া নিয়মের একটুও ব্যতিক্রম করেননি কোহলি, ভাবা যায়!

ফিটনেসের ব্যাপারে কোহলিকে কখনোই বলতে হয় না, নিজেই বাকি দলের জন্য আদর্শ, বলেছেন শংকর, ‘কোহলির মতো কাউকে যখন আপনি দেখেন, অনুপ্রাণিত না হয়ে আসলে থাকা যায় না। ও শেষ কবে ফিটনেসের ব্যাপারে ফাঁকি দিয়েছিল বা নিজের ইচ্ছামতো কিছু খেয়েছিল আমার মনে নেই। অন্তত গত দুই বছরে তো নয়ই। ও আসলে একটা যন্ত্র। ও মাসের পর মাস এভাবে খেটেই যাবে, অনেক সময় আমি ওকে জোর করেও বিশ্রাম নেওয়াতে পারি না।’

এর আগে কোহলির ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা এক সাক্ষাৎকারে ভারত অধিনায়কের ফিটনেস ধরে রাখার ‘রহস্য ফাঁস’ করেছিলেন। শর্মা জানিয়েছিলেন, ফিটনেসের জন্য কোহলি তাঁর প্রিয় কয়েকটি খাবার একেবারেই ছেড়ে দিয়েছেন, ‘ও পাগলের মতো বাটার চিকেন ও মাটন রোল এবং ফাস্ট ফুড খেতে ভালোবাসত। কিন্তু এখন এগুলোর কোনোটাই সে ছুঁয়েও দেখে না।’

কোহলির মতো নেতা থাকার কারণে দলে শংকরের কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছিল, ‘দলের অধিনায়কই যখন উদাহরণ সৃষ্টি করে, তখন দলের বাকিদের জন্য তাঁকে অনুসরণ করাটা সহজ হয়ে যায়। না হয় সমস্যা হয়ে যায় একটু।’

ভারতীয় দলের সঙ্গে শংকর কাজ করা শুরু করেছিলেন সেই ২০১৫ সালে। ভারতের খেলোয়াড়েরা তখন ফিটনেস নিয়ে এখনকার মতো গুরুত্ব দিতেন না। কিন্তু চার বছর পর শংকর-কোহলি জুটির কল্যাণে ভারতীয় দল বিশ্বের অন্যতম ফিট দল। ৫০ বছর বয়সী এই কোচের চুক্তি শেষ হয়েছে বিশ্বকাপের পরপর।