কোহলিকে স্লেজিং আর ভালুককে খোঁচানো একই
এর আগের বার ভারত যখন অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল, তিনি ছিলেন না দলে। বল টেম্পারিংয়ের দায়ে স্টিভ স্মিথের সঙ্গে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটাচ্ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ঘরে বসেই ওয়ার্নার দেখেছেন, সেবার ভারতের কাছে কীভাবে অসহায়ভাবে হেরেছে খর্বশক্তির অস্ট্রেলিয়া।
এ-ও দেখেছেন, বিরাট কোহলিকে স্লেজিংয়ের পরিণতি কেমন ভয়াবহ হয়। অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু ওয়েড, প্যাট কামিন্সরা এরই মধ্যে সেটি থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। দুজনই বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরে যখন অস্ট্রেলিয়া সফরে আসবে ভারত, কোহলিকে আর খোঁচাবেন না, স্লেজিং করবেন না। স্লেজিং করলে নাকি কোহলি উল্টো আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠেন। এখন দেখা যাচ্ছে ডেভিড ওয়ার্নারও হাঁটছেন একই পথে। তাঁর চোখে, ভালুককে খোঁচানোর পরিণতি যেমন ভয়ংকর হয়, কোহলিকে স্লেজিং করাও তেমনি।
২০১৮-১৯ সালের সেই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ভারত। টেস্টে জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে, ওয়ানডেতেও তা-ই। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। তা সেই সিরিজে না থাকলেও এর আগে-পরে তো কোহলির সঙ্গে অনেকবারই মাঠে দেখা হয়েছে ওয়ার্নারের। বচসাও হয়েছে। সেখান থেকেই ওয়ার্নারের উপলব্ধি, কোহলিকে খোঁচালে তিনি বরং আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠেন।
এমনিতেই বল টেম্পারিংয়ের কারণে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরানোর পর আচরণে আরও মার্জিত হয়েছেন ওয়ার্নার। মাঠের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিনোদন জুগিয়ে যাচ্ছেন অবশ্য একইরকমভাবে। তা নতুন এই মার্জিত ওয়ার্নারেরই উপলব্ধি, 'বিরাট কোহলি এমন একজন যাঁকে খোঁচানো কখনোই উচিত নয়। একটা ভালুককে তো খোঁচানোর কোনো মানেই হয় না!'
ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে আলাপে ওয়ার্নার বুঝিয়ে দিলেন, এবারের সিরিজ খেলতে উন্মুখ হয়ে আছেন, 'দর্শকহীন স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে খেলাটা একটু পরাবাস্তব মনে হবে। তবে আমি সিরিজটার জন্য দলে জায়গা পেতে চাই, সিরিজটার অংশ হতে চাই।' সর্বশেষ সিরিজের চেয়ে এবারের সিরিজ যে ভিন্ন হবে, তা-ও বললেন, 'গতবার আমরা খারাপ খেলিনি, কিন্তু খুব ভালো একটা দলের কাছে হেরে গিয়েছি। ওদের বোলিং তো কোনো ছাড়ই দেয়নি। এই মুহূর্তে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ বিশ্বসেরা, কিন্তু আমাদের বোলাররাও সেটিকে লক্ষ্য রেখেই বোলিং করবে। ভারতীয় দর্শক সেটি দেখতে উন্মুখ থাকবে নিশ্চিত।'