Thank you for trying Sticky AMP!!

কোহলিদের ম্যাচে চোখ তবে নিজেদের নিয়েই ভাবছে বাংলাদেশ

>কোর্টনি ওয়ালশ—বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচের এক চোখ যেন আজকের ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচে। আরেক চোখ ২ জুলাইয়ের ম্যাচে। টিম হোটেলে দাঁড়িয়ে বললেন দুটি ম্যাচ নিয়েই

ভারতীয় দর্শকদের চিৎকারের জোর কতটা, এজবাস্টনের প্র্যাকটিস এরিয়াতে বাংলাদেশ সেটি ভালোই টের পেল। তবে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা যে আজ ভারতীয় বোলারদের ওপর যেভাবে চড়াও হয়েছেন, তারা গগনবিদারী চিৎকারের খুব বেশি সুযোগ পেল কোথায়। ভারতকে ৩৩৮ রানের বড় লক্ষ্যই ছুড়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। কোহলিরা এই রান তাড়া না করতে পারলে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল-স্বপ্ন বড় ধাক্কাই খাবে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশ দল আজ ক্ষণে ক্ষণে খোঁজ নিচ্ছেন পাশের মাঠে হওয়া ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের। যদি ভারত হেরে যায়! অনুশীলনে রওনা দেওয়ার আগে টিম হোটেলের নিচে দাঁড়িয়ে দলের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ অবশ্য জানিয়ে গেলেন ম্যাচের ফল যেটাই হোক, তাঁদের লক্ষ্য একটাই—ভালো খেলতে নিজেদের পরের দুটি ম্যাচ, ‘হ্যাঁ, আমরা ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকে চোখ রাখছি। আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। কোনো কিছু বলতে চাই না এ ম্যাচ নিয়ে। দেখা যাক কী হয়। আমাদের সামনে দুটি বড় ম্যাচ। আমাদের ছেলেরা বাংলাদেশকে গর্বিত করতে চায়। যাই ঘটুক না কেন আমাদের সেরা ব্র্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে। বাকি দুই ম্যাচে আমরা শুধু এটাই করতে পারি।’

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশকে সেরা ব্র্যান্ডের ক্রিকেটই খেলতে হবে—বলছেন কোর্টনি ওয়ালশ। ছবি: শামসুল হক

সেরা ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে হলে শুধু ব্যাটিং ভালো করলে হবে না, বোলিংটাও তো ভালো করতে হবে। বিশেষ করে পেস বোলিং আক্রমণ—যে বিভাগের দায়িত্বে আছেন ওয়ালশ। হতে পারেন ফাস্ট বোলিংয়ের কিংবদন্তি, কিন্তু কোচ হিসেবে তিনি কতটা সফল হতে পারলেন, সেটি নিয়ে আছে প্রশ্ন। গত তিন বছরে তাঁর অধীনে বাংলাদেশ পেস বোলাররা আহামরি এমন কিছু করতে পারেননি যে বলা যায় ওয়ালশ কোচ হিসেবে সফল। বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণের দুই ভরসা মোস্তাফিজুর রহমান আর সাইফউদ্দিন যেমন নতুন বলে তেমন কোনো সাফল্যই এনে দিতে পারেননি ২০১৯ বিশ্বকাপে। দেশের মাঠে পুরোনো বলেই তাঁদের বেশির ভাগ সাফল্য। সামনের দুই ম্যাচেও যদি সেই একই ছবি দেখা যায়—বাংলাদেশ কি পারবে প্রতিপক্ষের বড় স্কোর ঠেকাতে?

ওয়ালশ বিষয়টা ছেড়ে দিচ্ছেন উইকেটের ওপর, ‘এটা নির্ভর করে উইকেটের ওপর। বার্মিংহামের উইকেট কেমন হয় সেটি আগে দেখতে হবে। যদি উইকেটে ঘূর্ণি থাকে তাহলে শুরুতেই উইকেট তুলে নিতে স্পিনার ব্যবহার করতে হবে। এই ম্যাচে (ভারত-ইংল্যান্ড) কী উইকেট ব্যবহার করা হচ্ছে সেটি দেখতে হবে। আর নতুন বলে যদি সুইং বা মুভমেন্ট থাকে তাহলে আমি সিমারদের ব্যবহার করতে চাইব। এটা নির্ভর করে নির্দিষ্ট দিনের ওপর, উইকেট কেমন আচরণ করছে সেটি বুঝেই আমরা বোলার ব্যবহার করব।’

নতুন বল যে বা যাঁদের হাতেই তুলে দেওয়া হোক, এজবাস্টনে দ্রুত ভারতীয় টপ অর্ডারে ভাঙন ধরাতে না পারলে বাংলাদেশের জন্য কাজটা কঠিনই হয়ে যাবে।