Thank you for trying Sticky AMP!!

ক্রাইস্টচার্চের ঘটনা নিয়ে টিম ম্যানেজার খালেদ মাসুদ যা বললেন

>ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলায় হতবিহ্বল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যে মসজিদে হামলা হয়েছে, সেখানেই নামাজ আদায়ের কথা ছিল ক্রিকেটারদের। একটু দেরি হওয়ায় প্রাণে বেঁচে গেছেন তারা। সেই ভয়াবহ সময়ের বর্ণনা দিয়েছেন দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ।

চোখের সামনে সন্ত্রাসী হামলা চলছে, রক্তাক্ত অবস্থায় মানুষ পড়ে আছে—ভয়াবহ এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে এমন অবস্থায় পড়তে হবে, সেটি হয়তো কখনোই ভাবেননি তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরা। এ ঘটনায় নিজেদের ভাগ্যবানই বলছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ, ‘আমরা ভাগ্যবান, বাসে অনেকেই ছিল। বেশ কয়েক জনই ছিল। সৌম্য সরকার বা যারা ছিল তাঁরা হয়তো নামাজ পড়তে যাচ্ছিল না, দু-একজন হোটেলে ছিল। বাদ বাকি সবাই বাসে ছিল। আমরা খুবই কাছে ছিলাম। মসজিদ আমরা বাস থেকেই দেখতে পাচ্ছিলাম। আমরা হয়তো ৫০ গজ দূরে ছিলাম। আমি বলব আমরা খুবই ভাগ্যবান, আর যদি তিন চার মিনিট আগে চলে আসতাম তাহলে আমরা মসজিদেই হয়তো থাকতাম।’

সেই ভয়াবহ মুহূর্তে দলের অনেকেই বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের দেখেছি বাসের মধ্যে, অনেকেই কান্নাকাটি করছিল, কি করতে পারে, কীভাবে কি করলে এখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। এটা খুবই কঠিন। সবার ওপরেই মানসিক প্রভাব ফেলে। এটা খুবই স্বাভাবিক। যেকোনো মানুষেরই ভেঙে পড়ার কথা।’

বাসে বসে থাকার মুহূর্তগুলো কিছুতেই ভুলতে পারছেন না জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক, ‘বাস থেকেই দেখতে পাচ্ছিলাম আমরা মানুষ রক্তাক্ত অবস্থা বেরিয়ে আসছে। আমরা প্রায় ৮-১০ মিনিট বাসেই ছিলাম। সবাই মাথা নিচু করে ছিলাম যদি কোনো কারণে গুলি হতে থাকে। পরে দেখলাম যারা আক্রমণ করছে তারা যদি বেরিয়ে এসে এলোপাতাড়ি গুলি করে।’

যতটা দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরত আসতে চান ক্রিকেটাররা। খেলোয়াড়দের আকুতিটাই তুলে ধরেছেন দলের ম্যানেজার, ‘কবে, কখন দেশে ফিরব, এ নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ফ্লাইটের সময়সূচি আছে। টিকিটের ব্যাপার আছে। দুই-একজন হলে সহজ হতো। কিন্তু আমরা প্রায় ১৯ জন যাব, এখান থেকে ব্যাক করে ঢাকায়। কিছু কোচ আছে কেউ হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবে, কেউ হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকা যাবে। তাঁরা হয়তো খুব দ্রুত সিঙ্গেল টিকিট পেয়ে যাবে। এই ১৯ জনের জন্য যেভাবেই হয় এক ফ্লাইটে না হলেও যেন আগে পিছে করে যত দ্রুত সম্ভব চলে যাওয়ার।’