Thank you for trying Sticky AMP!!

ক্রিকেটের অভিজাত বইয়ে এবার বাংলাদেশের এক ছবি

বাংলাদেশের এই ছবিটাই জায়গা পেয়েছে উইজডেনের সংক্ষিপ্ত তালিকায়। ছবি: রাজীব রায়হান

উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের ১৫৭তম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে কাল। উইজডেনে জায়গা পাওয়া সেরাদের তালিকায় বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের নাম থাকাটা বিরল ঘটনাই বটে। ২০১১ সংস্করণে তামিম ইকবাল জায়গা পেয়েছিলেন ক্রিকেটের অভিজাত এই বইয়ে—এখন পর্যন্ত তিনিই ‘প্রথম ও শেষ’ বাংলাদেশি হয়ে আছেন এই বইয়ের সেরা ক্রিকেটারদের তালিকায়।

মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে ২০২০ সংস্করণে বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড় উইজডেন অ্যালমানাকে জায়গা না পেলেও একটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জয়গান কিন্তু শোনা গেছে। এমসিসির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে উইজডেন সারা বিশ্বের আলোকচিত্রীদের কাছে ছবি আহ্বান করে। এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সর্বশেষ সংস্করণের জন্য জমা পড়েছিল ৬৫০ ছবি। সেখান থেকে চূড়ান্ত করা হয়েছে ১১টি ছবি। এই ১১ ছবির একটি তুলেছেন বাংলাদেশের রাজীব রায়হান।

রাজীবের ছবিটা কাল ভীষণ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘গার্ডিয়ান’। গার্ডিয়ান অবশ্য উইজডেনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা ১১টি ছবিই প্রকাশ করেছে। তবে তারা ছবির গ্যালারির ‘কাভার’ করেছে রাজীবের ছবি দিয়ে।

রাজীবের ছবিটা তোলা চট্টগ্রামের ফিশারি ঘাটে। মাঠজুড়ে ছড়িয়ে থাকা জালের মাঝে ২২ গজ বের করে নিয়েছে তিন কিশোর। সেখানেই চলছে ব্যাটে-বলের লড়াই। ছবির কিশোরেরা বুঝিয়েছে, ছোট্ট এক খণ্ড জমিন পেলেই খেলা যায় ক্রিকেট। ক্রিকেটের প্রতি তীব্র ভালোবাসা কী দারুণ ফুটে উঠেছে ছবিতে।

আলোকচিত্রী রাজীব কাজ করেন দেশের ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার–এর চট্টগ্রাম ব্যুরোতে। ছবি দিয়ে উইজডেনে জায়গা পেলেও পেশাগতভাবে তিনি ক্রীড়া আলোকচিত্রী নন। এমনকি ছবিটা তুলেছিলেনও নাকি একটু অগোছালোভাবে। এই ছবি দিয়ে উইজডেনের সেরা তালিকায় ঠাঁই পাবেন, ভাবতেই পারেননি রাজীব, ‘ছবিটা ২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর সন্ধ্যার খানিক আগে তোলা। গিয়েছিলাম মূলত কর্ণফুলী নদীর ছবি তুলতে। কর্ণফুলীর ছবি তুলে ফেরার সময় দেখি তিনটা ছেলে খেলছে। বেশি ক্লিক করতে পারিনি। খুব যত্ন নিয়ে তোলার সময়ও ছিল না হাতে। কোনোভাবে দুই-তিনটা ক্লিক করে চলে এসেছিলাম। একটু আফসোস হচ্ছিল, ছবিটা যদি আরেকটু সময় নিয়ে তুলতে পারতাম। ভাবতেই পারিনি এ ছবিটাই উইজডেনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পাবে!’

ছবিটা কাল গার্ডিয়ান–এ প্রকাশের পর রাজীব ভেসে যাচ্ছেন অভিনন্দনবার্তায়। পুরস্কার হিসেবে উইজডেন তাঁকে দিচ্ছে ২৫০ পাউন্ড। আর্থিক পুরস্কারের চেয়ে তাঁর কাছে বড় প্রাপ্তি উইজডেনের স্বীকৃতি। সেটির চেয়ে বড় কথা, এতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ তো থাকল।