Thank you for trying Sticky AMP!!

ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত মানি

আইসিসির সাবেক সভাপতি এহসান মানি ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছবি: এএফপি

ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে অসম্ভব চিন্তিত এহসান মানি। আইসিসির সাবেক সভাপতি মনে করেন, খেলাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে চিন্তিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি এই মুহূর্তে বর্তমান।
মানি চিন্তিত ক্রিকেটের ‘তিন মোড়লে’র ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে। এক বছর ধরে ক্রিকেটে এই তিন দেশের আধিপত্য খেলাটির বিশ্বায়নকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মনে করেন তিনি। এই তিন দেশের প্রভাব নিশ্চিত হওয়ায় নির্দিষ্ট করে পাঁচটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের ক্রিকেট হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিমত মানির। এই পাঁচটি দেশ হচ্ছে—পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে। মানির মতে, এই পাঁচটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে পর্যাপ্ত আর্থিক সংগতির অভাব। লন্ডনে উইজডেন অ্যালামনাকের নতুন সংস্করণের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মানি এসব মন্তব্য করেন।
মানি সবচেয়ে বেশি চিন্তিত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তিনি বলেন, ‘ক্যারিবীয় ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থার উদ্ভব কেবলমাত্র অর্থাভাবে। দুঃখ লাগে যখন দেখি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের হয়ে খেলার চেয়ে ক্যারিবীয় ক্রিকেটাররা আইপিএল বা এ ধরনের টি-টোয়েন্টি লিগের প্রতি বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। ক্রিকেটের ভবিষ্যতের স্বার্থেই একটি শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের দরকার।’
২০১৯ সালের বিশ্বকাপ দশ দলের ইভেন্টে পরিণত করার সিদ্ধান্তটিকে ক্রিকেটের জন্য ‘আত্মঘাতী’ হিসেবে দেখছেন মানি। তিনি আশঙ্কা করছেন, এর মাধ্যমে সহযোগী সদস্য দেশগুলোতে ক্রিকেটের প্রসার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের দাপটে কোনো সহযোগী দেশই বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে না। তিনি মনে করেন, ভবিষ্যতের স্বার্থেই বিশ্বকাপকে আরও বেশি দল গ্রহণ করতে হবে। বিশ্বকাপকে সংকুচিত করে নিয়ে আসার ফল খারাপ হতে বাধ্য।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এহসান মানি ২০০৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আইসিসির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মনে করেন, যেকোনো টেস্ট সিরিজই কমপক্ষে তিনটি টেস্টের হওয়া উচিত। টেস্ট ক্রিকেটকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে প্রয়োজন অনেক বেশি পৃষ্ঠপোষকতা।
মানি বলেন, গত মৌসুমে শ্রীলঙ্কার মতো দল ইংল্যান্ডে গিয়ে মাত্র দুই টেস্টের সিরিজ খেলেছে। অথচ ভারত খেলেছে পাঁচ টেস্টের সিরিজ। ব্যাপারটা আর কিছুই নয়। শ্রীলঙ্কার চেয়ে ভারতের ব্যবসায়িক দিকটা শক্তিশালী হওয়াতেই এই অবস্থা। এই ব্যাপারটা ক্রিকেটের জন্য মোটেও ভালো নয়। সূত্র: এএফপি।