Thank you for trying Sticky AMP!!

ছক্কা মারতে পারবে বাংলাদেশ?

সৌম্য-ইমরুলদের জ্বলে ওঠার ওপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভাগ্য। ছবি: প্রথম আলো

শেষ দুই ওভারে ইনিংসের শুরুটা ফিরিয়ে এনেছেন আবু হায়দার ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুর্দান্ত ওই দুই ওভারে হাতে ৬ উইকেট নিয়েও মাত্র ৭ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে। এতেই সম্ভাব্য তিন শ পার করা স্কোরটাও থেমেছে ২৮৬ রানে। ধবল ধোলাইয়ের লক্ষ্য পূরণ করতে হলে বাংলাদেশকে এখন করতে হবে ২৮৭ রান। চট্টগ্রামে উইকেটে বছরের এ সময়কার কন্ডিশনে লক্ষ্যটা কঠিন কিছু নয়। কিন্তু বাংলাদেশকে কি পারবে?

প্রশ্নটা তুলতে বাধ্য করছে বাংলাদেশই। একে তো সাকিব ও তামিম ছাড়া সিরিজ খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তার ওপর প্রতিপক্ষের রান তিন শর কাছাকাছি হয়ে গেলেই, কন্ডিশন যাই হোক না কেন বাংলাদেশ রান তাড়ায় গুবলেট পাকিয়ে ফেলে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে আজকের আগে ৬১ বার প্রতিপক্ষ দল ন্যূনতম ২৮০ বা এর বেশি রান তুলেছে। এর মাঝে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ২০১৩ সালে আরেকটি বৃষ্টিস্নাত ম্যাচে পরিবর্তিত লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ।

এ দুটি ঘটনা বাদে বাকি ৫৯ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ মাত্র ৪টি ম্যাচে জয় পেয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ ঘটনাটি ২০১৫ সালে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩১৮ রান করেও তামিমের অনবদ্য এক ইনিংসে হেরেছিল স্কটল্যান্ড। এর আগে বাংলাদেশের এমন জয় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০১৩ সালে ফতুল্লাতে নিউজিল্যান্ডের ৩০৭ রান সাকিব-তামিম বিহীন বাংলাদেশ টপকে গিয়েছিল ৪ উইকেট হাতে রেখেই। ২০১২ সালে ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ম্যাচটি জিততে অবশ্য সাকিব ও তামিম দুজনকেই দরকার হয়েছিল বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ প্রথম যেবার ন্যূনতম ২৮০ রানের স্কোর তাড়া করে জিতেছিল, সেবার অবশ্য তিন শ রানই তাড়া করেছিল দল। চার্লস কভেন্ট্রির বিশ্ব রেকর্ডে ৩১২ তুলেছিল জিম্বাবুয়ে। তামিম ইকবালের ১৫৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে প্রথমবারের মতো তিন শ তাড়া করে জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। আজ ষষ্ঠ জয়ের দেখা কি মিলবে?