Thank you for trying Sticky AMP!!

জিম্বাবুয়ে জানত, বাংলাদেশ এমন করবে!

চাতার প্রথম স্পেলের ধাক্কা সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ

সিলেট টেস্টের সবচেয়ে বড় বিস্ময় কোনটি? বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ২৮২ রান করে ১৩৯ রানের লিড পাওয়া নাকি জিম্বাবুয়ের পেসারদের এমন ভয়ংকররূপে আবির্ভূত হওয়া। প্রথম দিনের উইকেট ও বাংলাদেশের দল নির্বাচন বিবেচনা করলে, অধিকাংশ ক্রিকেট ভক্তের ভোটই যাবে জিম্বাবুয়ের পেস বোলিংয়ের দিকে। বাংলাদেশের উইকেট ও কন্ডিশনে পেসারদের এতটা প্রভাব বিস্তার করতে দেখা যায়নি বহুদিন। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হতেই উল্টো বিস্ময় উপহার দিল জিম্বাবুয়ে। সংবাদ সম্মেলনে এসে তারা জানাল, বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় যে হতে পারে, এটা নাকি তাদের জানা ছিল!

আজ বাংলাদেশ মূলত দিনের দ্বিতীয় সেশনে ব্যাট করেছে। অতীতে বছরের এ সময়টায় দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটসম্যানরা বেশি স্বস্তি পেতেন। কিন্তু আজ দ্বিতীয় সেশনে দিনের মধ্যভাগে মাত্র ১৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ—সবাই পেস বোলারদের শিকার। পরে মুশফিকুর রহিমও এঁদের দলে যোগ দিয়ে পেস বলে উইকেট দিয়েছেন। প্রথম ছয় উইকেটের পাঁচটি নিয়েছেন পেসাররা। এ ধস আর কাটিয়ে ওঠা হয়নি দলের। সিকান্দার রাজা ও শন উইলিয়ামস তাঁদের নিরীহ দর্শন স্পিনেই বাকি কাজটা সেরে নিয়েছেন।

প্রথম স্পেলেই তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ধাক্কা দেওয়া টেন্ডাই চাতারা জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা যে ব্যর্থ হতে পারেন, এটা জানা ছিল। কারণ, ওয়ানডে সিরিজে একটু বেশিই ছন্দে ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা, ‘ওরা ভালো একটা ওয়ানডে সিরিজ কাটিয়েছে। আমরা তাই জানতাম, ওরা হয়তো এসে ওয়ানডের মতো খেলার চেষ্টা করবে। এতে টেস্টে আমরা ভালো সুযোগ পাব, কারণ ফিল্ডিং আরও বেশি আক্রমণাত্মক হবে। আমার মনে হয় না, ওয়ানডে থেকে টেস্টে রূপান্তরটা সামলাতে পেরেছে ওরা। এখানে অনেক বেশি বল ছাড়তে হয়, যেখানে ওয়ানডেতে অনেক বেশি স্কোরিং শট খেলতে হয়।’ এ কথাগুলো পড়ার সময় মাথায় রাখতে হবে, ২০১৮ সালে এই প্রথম টেস্ট খেলছে জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বিপদে শুধু চাতারা ফেলেননি, কাইল জারভিসও ফেলেছেন। যে উইকেটে স্বাগতিক দল দুজন পেসার খেলানোর সাহস পায়নি, সেখানে জিম্বাবুয়ের দুই পেসার দুর্দান্ত করেছেন। তাই তো নিজেদের দল নির্বাচনের পক্ষে যুক্তি দিতে পারছেন চাতারা, ‘যদি ভালো জায়গায় বল করতে পারেন সিমারদের জন্যও এটা ভালো উইকেট। কারণ সিমাররা কিন্তু পাঁচ উইকেট পেয়েছে। প্রথমদিকে আমি শুধু ভালো জায়গায় বল ফেলতে চেয়েছি। কারণ বাংলাদেশের উইকেট ফ্ল্যাট, এমন কথা বারবার বলা হচ্ছিল। তাই শুরুতে ভালো জায়গায় বল ফেলা ও ব্যাটসম্যানদের খেলতে বাধ্য করাই ছিল পরিকল্পনার অংশ।’