Thank you for trying Sticky AMP!!

জুয়ায় বাজিমাত করেছেন রোহিত

দিনেশ কার্তিক

এমন জয়ের পরও প্রশ্নের মুখে রোহিত শর্মা! যেখানে তিনি নিজে ব্যাট হাতে ভারতের জন্য কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন। ফাইনালে রান তাড়া করে জেতার চাপটা নিতে সহজ করেছেন ইনিংস উদ্বোধন করতে এসে ৪২ বলে ৫৬ রান করে। তবু ম্যাচটা ভারত হারতে বসেছিল। ১২ বলে ৩৪, টি-টোয়েন্টিতে এমন সমীকরণ মিলেছে বটে, কিন্তু খুব বেশিবার তো নয়। কিন্তু ঠিকই মিলে গেল। এমনকি শেষ বলে ৫ রান দরকার, এই কঠিন সমীকরণটাও। দিনেশ কার্তিক রুদ্ররূপে হাজির হবেন, কে ভেবেছিল!

ভারতের কাজটা কঠিন করে তুলেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৮তম ওভারে একটি রানও দেননি। একমাত্র রান এসেছে লেগবাই থেকে। মোস্তাফিজ নিয়েছেন উইকেট মেডেন। তাঁর কাটারে প্রতিটি বলে অসহায় দেখাচ্ছিল বিজয় শংকরকে। ব্যাটেই লাগাতে পারছিলেন না শংকর। ১৮ বলে ৩৫ রান দরকার, সেটাকেই শংকর বানিয়েছেন ১২ বলে ৩৪!

ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রোহিতকে তাই ম্যাচ শেষে প্রশ্নের মুখে পড়তে হলো। ব্যাখ্যা দিতে হলো কার্তিককে কেন সাতে ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিল, আগে কেন শংকর। রোহিত জানালেন, বুঝেশুনেই জুয়াটা তিনি খেলেছেন, ‘ও সাত নম্বরে ওর রাজ্য দলের হয়ে অনেকবার ব্যাটিং করেছে। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে ওর সঙ্গে যখন খেলেছি, তখনো জানতাম ব্যাট হাতে ও কী করতে পারে। শেষের ওভারগুলোতে খুব কাজে দেয়, এমন ভিন্ন রকমের কিছু শট সে খেলতে পারে। এ কারণেই ওকে রেখেছিলাম পরে পাঠাব বলে। এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আমার নেওয়া ঝুঁকিটা দারুণভাবে কাজে দিয়েছে।’

রোহিত শুরুতে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু ১৬৬ রানের লক্ষ্যটাকে কঠিন বানাতে বেশ ভূমিকা ছিল রুবেল হোসেনের। নিজের প্রথম ৩ ওভারে রুবেল দিয়েছিলেন মাত্র ১৩ রান। সেই রুবেলই শেষে ডুবিয়েছেন দলকে। রোহিত মনে করিয়ে দিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি খেলাটাই এমন। এখানে একটি ডেলিভারির কারণে কেউ রাজা হয়ে যায়, কেউ খলনায়ক, ‘দিনেশ, মনীশ আর বিজয় জানত চাপটা ওদের ওপরে থাকবে। যেকোনো একটি ভুলের বড় খেসারত দিতে হতে পারে। চাপ এখানে সব সময় বড় ভূমিকা রাখে। ঠিক সেটাই হয়েছে। তবে আমরা জানতাম, শেষ পর্যন্ত দিনেশ ম্যাচটা বের করে আনবে।’

এখন তো দেখা যাচ্ছে, ১৮তম ওভারে মনীশ পাণ্ডে আউট হওয়াটা ভারতের পক্ষেই গেছে। ওই উইকেটটি পড়েছিল বলেই তো অন্তত শেষ ২ ওভার ব্যাটিং পেয়েছিলেন কার্তিক। না হলে জমিয়ে রাখা জুয়াটা তো কাজেই লাগাতে পারতেন না রোহিত!