Thank you for trying Sticky AMP!!

টন্টন থেকেই জেতার শুরু বাংলাদেশের

রোডসের আশাবাদ, টন্টন থেকেই জিততে শুরু করবে বাংলাদেশ। ছবি: শামসুল হক

স্টিভ রোডস অপেক্ষা করছিলেন হলিডে ইন হোটেলের লবিতে। ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক বের হবেন। তাঁকে নিয়ে একটু বাইরে যাবেন বাংলাদেশ কোচ। পরিচিত সাংবাদিক দেখে সৌজন্য বিনিময়, স্বভাবসুলভ দুষ্টুমি করলেন। তবে ওই হালকা মেজাজের মধ্যেই যেটা বললেন, সেটা একটা বার্তা হতে পারে বাংলাদেশ দলের জন্য।

ব্রিস্টল থেকে টন্টনে এসে প্রথম দুটি দিন বিশ্রামে আছে বাংলাদেশ দল। কাল শুক্রবার থেকে শুরু হবে অনুশীলন। এখানে বাংলাদেশ তাদের একমাত্র ম্যাচটি খেলবে কুপার অ্যাসোসিয়েটস গ্রাউন্ডে, ১৭ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। কোচ স্টিভ রোডসের চোখ এখন সেদিকেই, ‘অনেক বিশ্রাম হলো। দুটা দিন নির্ভার কাটানোয় সবার জন্যই ভালো হয়েছে। তবে এখন আমাদের জেতা শুরু করতে হবে।’

সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মতো অত রাশভারী নন রোডস। রসিক মানুষ, কথা বলতে পছন্দ করেন অনেক। এটা যেমন ভালো, তেমনি কোচের এই গুণই আবার প্রশ্ন তুলে দেয়, দলের খেলোয়াড়েরা তাঁর কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনেন তো! কোচ যদি একটু গম্ভীর না হন, কঠোর না হন, দলের মধ্যে তাঁর প্রভাবটাও যে তৈরি হয় না।

তবে পরিসংখ্যান ইংলিশ কোচের পক্ষে। বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিয়েছেন গত বছরের এই জুন মাসেই। তাঁর অধীনে এই এক বছরে বাংলাদেশ দল ২৫টি ওয়ানডে খেলে জিতেছে ১৫টিতেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতেছে টেস্ট সিরিজ। ২০১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে দারুণ জয়ের পর নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের কাছে হারলেও বাংলাদেশ দলের প্রতি অন্য দলগুলোর সমীহ কমেনি। দলও আশা করে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়া এখনো সম্ভব তাদের পক্ষে।

কিন্তু বাংলাদেশের কোচ হিসেবে এই এক বছর রোডসের কেমন কাটল?  ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের জন্য অপেক্ষা করতে করতে যা বললনে, শুধু ‘উপভোগ্য’ শব্দটিই সেটি প্রকাশে যথেষ্ট। তবে তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভাষাগত সমস্যা, ‘আমি বাংলা বুঝি না, শুরুতে খেলোয়াড়েরাও হয়তো অনেক আমার কথাটা ঠিকভাবে বুঝতে পারত না। এটা চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে খুব বেশি সমস্যা হয়নি। ক্রিকেটের কিছু ভাষা তো বৈশ্বিক। সব দেশেই এক।’

ততক্ষণে লবিতে চলে এসেছেন কুক। ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন দুজনে। হয়তো ছুটির শেষ দিনটা কাজে লাগাতে। কাল থেকেই তো আবার যুদ্ধ শুরু। এবারের যুদ্ধটা কঠিনও। জিততে শুরু করার প্রতিজ্ঞা যে করেছেন স্টিভ রোডস!