Thank you for trying Sticky AMP!!

জিততে হলে ৩২২ করতে হবে বাংলাদেশকে

গেইলকে ফেরানোর উদযাপন বাংলাদেশ দলের। ছবি: প্রথম আলো
>বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩২১ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে মেঘ জমা আকাশ আর আর্দ্র উইকেটে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন পেসাররা। মনে হচ্ছিল আজ কিছু হতে চলেছে! কিন্তু শুরুর চাপটা সামলে ওয়েস্ট ইন্ডিজও স্বরূপে ফেরার চেষ্টা করেছে। তাতে বাংলাদেশ দুর্দান্ত শুরু করেও প্রতিপক্ষকে তিন শ রানের মধ্যে বেঁধে রাখতে পারেনি। ১০ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৩২ রান তোলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশকে জয়ের জন্য শেষ পর্যন্ত ৩২২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস টেনেছেন মূলত এভিন লুইস, শাই হোপ আর শিমরন হেটমায়ার। মাশরাফি-সাইফউদ্দিন দুর্দান্ত শুরু করায় এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন হোপ। বাংলাদেশকে পেলেই ব্যাট চওড়া করে তোলার অভ্যাসটা তিনি আজও ধরে রাখলেন। সেঞ্চুরির সুবাস ছড়িয়ে দলের ইনিংস টানায় ‘নিউক্লিয়াস’-এর ভূমিকা পালন করেছেন এ ওপেনার। ৪৭তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে আউট হয়েছেন ৯৬ রানে!

দ্বিতীয় উইকেটে লুইসের (৭০) সঙ্গে ১১৬ রানের জুটি গড়েন হোপ। আর চতুর্থ উইকেটে হেটমায়ারের সঙ্গে গড়েছেন ৪৩ বলে ৮৩ রানের ঝোড়ো জুটি। এ দুজন উইকেটে থাকতে মনে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ সাড়ে তিন শ ছাপিয়ে যাবে! কিন্তু ৪০তম ওভারে হেটমায়ারের সঙ্গে রাসেলকেও তুলে নিয়ে চাপটা ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪০তম ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ২৪৩। এখান থেকে শেষ ১০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ৭৮ রান তুলতে দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা।

২০তম ওভার পর্যন্ত ওভারপ্রতি গড়ে ৪.৩০ করে রান দিয়েছিলেন বোলাররা। এ সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৮৬। পরের ১০ ওভার রানের গতি বাড়াতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩০ ওভার শেষে তাঁদের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১৫১ (ওভারপ্রতি ৫.০৩)। এখান থেকে ৪০তম ওভার পর্যন্ত ৯২ রান উঠেছে হেটমায়ারের ২৬ বলে ৫০ রানের ঝোড়ো ইনিংসে। হেটমায়ারের অসমাপ্ত ঝড় শেষ ১০ ওভারে তোলার চেষ্টা করেও পারেননি জেসন হোল্ডার। ১৫ বলে ৩৩ করে সাইফউদ্দিনের বলে আউট হয়েছেন ৪৪তম ওভারে।

রান দেওয়ায় কিপটেমি বিবেচনায় সেরা বোলার মাশরাফি। ৮ ওভারে ১ মেডেন নিয়ে ৩৭ রান দিয়েছেন অধিনায়ক। ৩টি করে উইকেট মোস্তাফিজ ও সাইফউদ্দিনের। ২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।