Thank you for trying Sticky AMP!!

টিভি আম্পায়ারকে আরও একটি কাজ করার পরামর্শ অশ্বিনের

মানকাডিং বন্ধ করার উপায় বাতলে দিলেন অশ্বিন। ছবি: এএফপি

মানকাডিং শব্দটা উচ্চারিত হলেই ইদানীং রবিচন্দ্রন অশ্বিন হাজির হয়ে যান। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তেই মানকাডিংয়ের ঘটনা ঘটলেই ক্রিকেটীয় চেতনা নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলে। আর সেখানে মানকাডিংয়ের পক্ষে কথা বলে লড়তে থাকেন অশ্বিন। এবার অবশ্য কোনো মানকাডিং আউট হওয়ারও দরকার হয়নি। আইসিসির নতুন নো বলের নিয়মেই মানকাডিং টেনে এনেছেন অশ্বিন।

আজ থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সুপার লিগ শুরু হচ্ছে। আর ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পায়ের নো বল দেওয়ার সিদ্ধান্ত টিভি বা তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে দিয়ে দিচ্ছে আইসিসি। বোলারদের জন্য কাজটা তাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যাটসম্যানদের বাড়তি সুবিধা আটকাতে এবং মানকাডিং বন্ধ করার জন্যও তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য চেয়েছেন অশ্বিন।


গত মঙ্গলবার আইসিসির নতুন নিয়ম নিয়ে টানা টুইট করেছেন অশ্বিন, 'আশা করি নতুন এই প্রযুক্তি দিয়ে ব্যাটসম্যান বল করার আগেই বের হচ্ছে না কি না সেটা দেখবে এবং এমন কিছু হলে প্রতিবার রান কাটা যাবে! এভাবেই পায়ের দাগের ব্যাপারে অসমতা দূর হবে।'

২০১৯ সালে আইপিএলে জস বাটলারকে মানকাড করেছিলেন অশ্বিন। সেবার এ নিয়ে বিতর্ক আকাশ ছুঁয়েছিল। অনেকে এ নিয়ে ক্রিকেটীয় চেতনা টেনে আনলেও অশ্বিনের চোখে আগে বের হয়ে থাকলে ব্যাটসম্যান বাড়তি সুবিধা পান। আর সেটা বোলারের প্রতি অন্যায়, ‘অনেকেই হয়তো এখানে বৈষম্যের গভীরতা বুঝতে পারছেন না। তাই আমার পক্ষে যতটা সম্ভব সহজ করে বলি। যদি নন-স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যান আগেই দুই ফিট বাইরে থাকার ফলে দুই রান নিতে সক্ষম হয়, তাহলে সে স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যানকে পরের বলও খেলাতে সক্ষম হলো। টানা দুই বল একই ব্যাটসম্যান খেলার ফলে আমার হয়তো চার বা ছক্কা খেতে হতে পারে পরের বলে। যার মানে এর ফলে যেখানে ভিন্ন এক ব্যাটসম্যানকে বল করলে এক রান হতো এবং পরের বলে হয়তো একটা ডট হতো সেখানে আমার বাড়তি ৭ রান খরচ হচ্ছে। আবার টেস্টে একজন ব্যাটসম্যানের জন্যও এটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে যে স্ট্রাইকে থাকতে চাইছে না।’

অনেকে এভাবে প্রতি বলে ব্যাটসম্যানের অবস্থান দেখাকে অনেক খরচের ব্যাপার বলে মনে করছিলেন। তার জবাবও দিয়েছেন অশ্বিন, 'এমনিতেই বোলারের জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে সবকিছু। এবার একটু ভারসাম্য আনার সময় এসেছে। আমরা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ১২০ বলই নো বলের জন্য ব্যবহার করতে পারছি সেই একই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এটা করা সম্ভব।' এভাবেই মানকাডিং করার আর দরকার হবে না বলে ধারণা অশ্বিনের।

অশ্বিনের এমন যুক্তি মনে ধরেছে হার্শা ভোগলের। এই ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষক বলেছেন, ‘এটা ভেবে দেখার মতো একটা থ্রেড (টানা কয়েকটি টুইটার)। আমি এর পক্ষে। নন-স্ট্রাইকারকে অবশ্যই দাগের মধ্যে থাকতে হবে।এখন পর্যন্ত আমি যা পড়েছি বা শুনেছি তাতে এর বিপক্ষে কোনো যুক্তি পাইনি।’