Thank you for trying Sticky AMP!!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পেছানোর ইচ্ছে নেই অস্ট্রেলিয়ার

মেলবোর্নে এবার নভেম্বরে এমন কিছু দেখা যাবে তো? ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসে থমকে আছে ক্রীড়াঙ্গন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ হয়ে গেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটও প্রায় সব দেশেই স্থগিত। সবাইকে বিস্মিত করে একমাত্র পাকিস্তান সুপার লিগই চলছিল পুরোদমে। স্টেডিয়াম শূন্য করে ঘরের মাঠে প্রথম পিএসএল আয়োজন সফল করার চেষ্টা আজ সেমিফাইনালেই থামিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। এ অবস্থায় ২০২০ সালের পরবর্তী ক্রিকেট সূচি নিয়ে শঙ্কা জাগাটাই স্বাভাবিক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সব পূর্বনির্ধারিত সিরিজ আয়োজন কি সম্ভব?

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অবশ্য সে আশাই করছে। করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, এখনো সে ব্যাপারে কারও কোনো ধারণা নেই। এ বাস্তবতা মেনে নিয়েও অক্টোবর-নভেম্বরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সঠিক সময়ে আয়োজনের আশা করছে আয়োজক কমিটি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে এখনো কোনো দ্বিধা নেই তাঁদের মনে।

আগামী ১৮ থেকে ২৩ অক্টোবর বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা এখানে অংশ নিয়েই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে যেতে হবে। ১২ দলের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ২৪ অক্টোবর। অস্ট্রেলিয়ার জন্য চিন্তার বিষয় হলো, ২৪ তারিখের দুটো ম্যাচের ভেন্যু সিডনি ও পার্থ। এ দুই ভেন্যুতে অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলও খেলা হয়। করোনার কারণে অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লিগের খেলা পেছাচ্ছে। ফলে এই লিগের খেলাও অক্টোবরে গড়াতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভেন্যু নিয়ে সংকটে পড়ে যাবে সিএ।

রবার্টস অবশ্য আশা করছেন, সময় মতোই সবকিছু হবে, ‘আমরা আশায় আছি, আগামী কয়েক সপ্তাহে বা মাসে আবার সব ধরনের খেলা মাঠে গড়াবে। এমন পরিস্থিতির ব্যাপারে আমাদের কারওই ভালো ধারণা নেই। তাই শুধু আশা করছি অক্টোবর ও নভেম্বরে যখন ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় হবে, তখন সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এখন আমরা ১৫ নভেম্বর (বিশ্বকাপ ফাইনাল) নিয়ে পরিকল্পনা করছি। আশা করছি মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রতিটি আসন ভর্তি থাকবে। কয়েক সপ্তাহ আগে মেয়েদের ক্রিকেটাররা যেভাবে পুরো বিশ্বকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে, ছেলেদের ক্রিকেটও তাই করবে।’