Thank you for trying Sticky AMP!!

টেস্টটা তৃতীয় দিনে নিতে পারল বাংলাদেশ

আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ। ছবি: এএফপি
প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইনিংস হার এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হবে আরও ৩০১ রান। হাতে আছে ৪ উইকেট

দুই দিনে টেস্ট হারার নজিরগুলো দেখার জন্য ইতিহাস ঘাঁটা শুরু হয়ে গিয়েছিল। আসলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে আসা যাওয়া শুরু করেছিলেন, তাতে ইতিহাস না ঘেঁটে উপায় আছে! ভাগ্যিস, শেষ পর্যন্ত অ্যান্টিগা টেস্টটা গড়িয়েছে তিন দিনে। দ্বিতীয় দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬২ রান। অর্থাৎ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইনিংস হার এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হবে আরও ৩০১ । হাতে আছে ৪ উইকেট।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪০৬। স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ড দেখলেই তো বোঝা যায় উইকেটে থিতু হতে পারলে ব্যাটে রান আসবে প্রচুর। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা প্রথম ইনিংসে করা ভুলগুলো থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে বের হয়ে আসতে পারলেন না। ১৮ ওভার খেলতেই নেই ৬ উইকেট। আগের ইনিংসের ক্যারিবিয়ান নায়ক কেমার রোচ দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংই করতে পারলেন না হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে। কিন্তু এবার বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসিয়ে দিলেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ৩৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

স্কোরবোর্ডে ১৪ রান যোগ না হতেই ফিরে গেছেন তামিম ইকবাল (১৩) ও মুমিনুল হক (০)। দুজনই গ্যাব্রিয়েলের শিকার। হোল্ডারের বলে ২ রান পরে ফিরে গেছেন লিটন দাসও (২)। চতুর্থ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বড় পার্টনারশিপ গড়েছেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। কত জানেন? ২০। গ্যাব্রিয়েলের বলে ৮ রানে মুশফিক ফিরে যাওয়ায় এ জুটি ভাঙে দলীয় ৩৬ রানে। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে শেষ ভরসা ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু তিনিও নিজেকে আলাদাভাবে প্রমাণ করতে পারেননি। দলীয় ৪৩ রানের সময় ব্যক্তিগত ১২ রানে সাকিবও গ্যাব্রিয়েলের শিকার। আর ২ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজ যখন সাজঘরে ফেরেন, বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫০। শেষ পর্যন্ত একবার জীবন পেয়ে ১৫ রানে নটআউট আছেন মাহমুদউল্লাহ। আর অন্য অপরাজিত ব্যাটসম্যান নুরুল হাসানের সংগ্রহ ৭ রান।

এর আগে ৮৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অভিষেক টেস্টটা কিছুটা স্মরণীয় করে রাখতে পেরেছেন আবু জায়েদ। অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪০৬ রানে অলআউট করা গেছে, এটাই বা কম কী। যেহেতু স্বাগতিকদের ৩ উইকেটে রান ছিল ২৭২, তাদের পরের ১৩৪ রানে যে বাকি ৭ উইকেট তুলে নেওয়া গেছে, অবশ্যই বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে দুই স্পিনার সাকিব ও মিরাজ আর পেসার আবু জায়েদকে।

 বোলাররা যা একটু স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন, সেটি উধাও হতে সময় লাগেনি ব্যাটসম্যানদের টানা ব্যর্থতায়। বোলারদের চেষ্টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪০৬ রানে বেঁধে ফেলতে পারলেও, ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের সামনে ইনিংস ব্যবধানে হারের চোখ রাঙানি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৩

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ১৩৭.৩ ওভারে ৪০৬  (ব্র্যাথওয়েট ১২১, বিশু ১৯, হোপ ৬৭, হোল্ডার ৩৩, রোচ ৩৩, কামিন্স ১*, গ্যাব্রিয়েল ৫; আবু জায়েদ ৩/৮৪, কামরুল ১/৬৯, সাকিব ২/৭১, মিরাজ ৩/১০১, মাহমুদউল্লাহ ১/১৮)।

 বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১৮ ওভারে ৬২/৬ (তামিম ১৩, লিটন ২, মুমিনুল ০, মুশফিক ৮, সাকিব ১২, মাহমুদউল্লাহ ১৫*, মিরাজ ২, সোহান ৭*; গ্যাব্রিয়েল ৪/৩৬, হোল্ডার ২/১৫)।