Thank you for trying Sticky AMP!!

পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ পারফর্ম করেছেন চট্টগ্রামের বোলাররা

ঢাকাকে হারিয়ে ফাইনালে চট্টগ্রাম

টুর্নামেন্টজুড়েই গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে টেনেছে তাদের বোলিং লাইনআপ। জেমকন খুলনার বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ালিফায়ারে বোলারদের দিনটা বাজে গিয়েছিল। চট্টগ্রামও সেদিন হারে বাজেভাবে।

আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে চট্টগ্রামের বোলারদের দেখা গেল চেনা ছন্দে। দলও জিতল সহজে।

৭ উইকেটের বিশাল জয়ে চট্টগ্রাম উঠল টুর্নামেন্টের ফাইনালে। শুক্রবার ফাইনালে জেমকন খুলনার বিপক্ষে খেলবে চট্টগ্রাম। হেরে বাদ পড়ল ঢাকা।

আজকের ম্যাচের আগে ৮ ম্যাচ খেলা মোস্তাফিজুর রহমান নিয়েছিলেন ১৮ উইকেট। উইকেটশিকারিদের তালিকার শীর্ষে তিনি। আরেক বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামও উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন। ৮ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট।

আজ আগে ব্যাট করা ঢাকার বিপক্ষে মোস্তাফিজ নিয়েছেন ৩ উইকেট, শরিফুল ২টি। এই দুই বোলারকে সাহায্য করেছেন নাহিদুল ইসলাম, রকিবুল হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন।

আউটফিল্ডে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের কথাও আলাদা করে বলতে হয়। ঢাকাকে ১১৬ রানে অলআউট করতে যা করা দরকার ছিল, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে ঠিক তা–ই করেছে চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান আজও ছিলেন দারুণ ছন্দে

বাঁচা–মরার এই ম্যাচে ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ শুরুতেই জুয়া খেলেন। হার্ডহিটার মুক্তার আলীকে লোয়ার অর্ডার থেকে তুলে এনে সাব্বির রহমানের সঙ্গে নামান ওপেনিংয়ে।

কিন্তু জুয়ায় উল্টো হেরেছেন ঢাকার কোচ–ই। সাব্বির আউট হন দ্রুত। এরপরই আউট মুক্তার। ইনিংস শুরু হতে না হতেই দ্রুত উইকেট হারানোর চাপ নিয়ে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ নাঈম।

শুরুতে সময় নিয়ে থিতু হওয়ার চেষ্টা ছিল দুজনের মধ্যেই। কিন্তু আজ তা হতে দেননি মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের ছাত্ররা। রান করার কোনো সুযোগই দেননি মুশফিকদের।

বাধ্য হয়ে বড় শটে যেতে হয় নাঈম ও মুশফিককে। দুজনই দুই অঙ্কের ঘরে গিয়ে আউট হন ছক্কা মারার চেষ্টায়।

চট্টগ্রামের আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও ভালো সঙ্গ দিয়েছেন মোস্তাফিজকে

ইয়াসির আলী চেষ্টা করেন রান বাড়ানোর। তখন আবার আগুনঝরা বোলিং করা শুরু করেন মোস্তাফিজ।

শেষে দ্রুত উইকেট নিয়ে ঢাকাকে অলআউট করেন ১১৬ রানে। ২৫ রান করে আউট হন মুশফিক। আল–আমিনের ব্যাট থেকেও আসে ২৫ রান। ২৪ রান করেন ইয়াসির আলী।

ছোট্ট স্কোর তাড়া করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি চট্টগ্রামকে। ৩ উইকেট হারিয়ে ৫ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম। লিটন-সৌম্য পুরো টুর্নামেন্টে যা করেছেন, আজও তা–ই করেছেন।

চট্টগ্রামের ফাইনালে ওঠার পথে হেসেছে লিটনের ব্যাট

দলকে শুরুতে এনে দেন ভালো সূচনা। ৪৪ রানের ওপেনিং জুটি ভেঙেছে সৌম্যর রানআউটে। রানরেটের চাপ না থাকায় জুটি ভেঙেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ঢাকা।

অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ও ওপেনার লিটন মিলে দলকে নিয়ে যান জয়ের খুব কাছে। ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারতেন দুজনই। কিন্তু দুজনই সীমানায় ক্যাচ দিয়ে আউট হন।

লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে চট্টগ্রাম ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪০ রান, মিঠুন ৩৪। শেষের দিকে মোসাদ্দেক হোসেন (২) ও শামসুর রহমান (৯) অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে আসেন।

ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচসেরা মোস্তাফিজুর রহমান