তামিমরা সেদিন 'সবাইকে বুকে জড়িয়ে কেঁদেছেন'
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা অনেকের জীবনের গতিপথই পাল্টে দিয়েছে। এই হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যে কারণে তৃতীয় টেস্ট বাতিল করে দেশে ফিরে এসেছেন তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমরা। দেশে পা রাখার পর তামিম নিজেই বলেছেন, এই ঘটনা ভুলতে তাঁদের অনেক সময় লাগবে। বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ সুনীল যোশিও মনে করছেন, ভয়াবহ এই ঘটনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে ক্রিকেটারদের। এ জন্য ক্রিকেট থেকে অন্তত কিছুদিন দূরে থাকা উচিত।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ যোশির এসব কথা নিয়ে প্রতিবেদন করেছে। ক্রাইস্টচার্চে সেই সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহতও হয়েছেন অনেকে। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা যে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলেন, হামলা হয়েছে সেই মসজিদেই। এরপর ক্রিকেটাররা দেশে ফিরলেও যোশি তাঁদের সঙ্গে আসেননি। তিনি গিয়েছেন জন্মভূমি ভারতে। সেখানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এই হামলা নিয়ে কথা বলেছেন ভারতের সাবেক এই স্পিনার।
ঘটনার সময় টিম হোটেলে ছিলেন যোশি। তিনি বলেন, ‘দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ ফোন করলে প্রথম এটা জানতে পারি। তিনি জানান, মসজিদে গোলাগুলি হচ্ছে, আমাদের কারও হোটেলের বাইরে যাওয়া উচিত হবে না। দলের বাকিদের সঙ্গে আমি হোটেলে ছিলাম, কারণ স্টেডিয়ামে মধ্যাহ্নভোজ করতে চাইনি। মধ্যাহ্নভোজের পর সংবাদ সম্মেলন এবং নামাজ শেষে হোটেলে আমাদের নিতে আসার কথা ছিল টিম বাসের।’
৪৮ বছর বয়সী যোশি জানান, বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে হোটেলে ফেরার পর তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। যোশির ভাষায়, ‘তারা সবাইকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে কেঁদেছে। রাস্তায় পরে থাকা লাশ, রক্তাক্ত শরীরে আহতদের আর্তনাদ—এসব দৃশ্য তাড়া করে ফিরেছে ওদের। দেশে ফেরার আগে আমরা দলীয় কামরায় একত্র হই। মাঝরাত পেরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ওখান থেকে কেউ নিজের কামরায় ফিরতে চায়নি।’
যোশি মনে করেন, সেদিন হামলা থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় ভাগ্য বড় ভূমিকা রেখেছে। আর সেই নারী, যিনি তামিমদের মসজিদে ঢুকতে নিষেধ করেছিলেন। ‘ভাগ্য সেদিন অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। তৃতীয় টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলন শেষ হতে একটু দেরি হয়েছিল। এতে খেলোয়াড়দের মসজিদে যেতেও দেরি হয়। এ ছাড়া সেই নারী, যিনি ক্রিকেটারদের সাবধান করে তাদের জীবন বাঁচিয়েছেন’, বলেন ৪৮ বছর বয়সী এই স্পিন কোচ।
ভয়াবহ এই হামলার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে ক্রিকেটারদের কিছুদিন খেলা থেকে দূরে থাকা উচিত বলেও মনে করেন যোশি। বিশেষ করে সৌম্য সরকার ও লিটন দাসের মতো দলের চার-পাঁচজন তরুণ ক্রিকেটারের। যোশির ভাষায়, ‘দল কিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। খেলোয়াড় থেকে স্টাফরাও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে, যা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। এসব ক্ষেত্রে সময়ই সেরা ওষুধ।’
আরও পড়ুন
-
হজ ভিসায় জেদ্দা, মদিনা ও মক্কার বাইরে ভ্রমণ নয়: সৌদি আরব
-
তৃতীয় টি–টোয়েন্টি: জিম্বাবুয়েকে ১৬৬ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
-
ভারতে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অমিত শাহসহ হেভিওয়েট প্রার্থী যাঁরা
-
ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় অফিস সহকারীর হাত ভাঙল কিশোর গ্যাং সদস্যরা
-
র্যাবের উদ্ধার করা আট কেজি সোনা বৈধ, মামলায় খালাস সেই মনির