Thank you for trying Sticky AMP!!

তামিমের অন্য গ্রহের টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং

আজও আগের মতোই ধীরলয়ের ব্যাটিং করলেন তামিম

উইকেটে থিতু হচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু বল খরচ করছেন খুব বেশি। তামিম ইকবালের এমন টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং নিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএল থেকেই আলোচনা হচ্ছে। পাকিস্তানে সিরিজের প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ইনিংসেও একই ধারা দেখা গেল। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আজ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের সপ্তম ফিফটি করেছেন তামিম, খেলেছেন ইনিংসের ১৮ ওভার পর্যন্ত। কিন্তু ইনিংসটা শেষ করেছেন ৫৩ বলে ৬৫ রান করে, স্ট্রাইক রেট ১২২.৬৪। তামিমের মতোই এগিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংসও। একজন থিতু হওয়া ব্যাটসম্যান ১৮তম ওভার পর্যন্ত খেললেন, অথচ দল করেছে মাত্র ১৩৬ রান!

বিশ্বের অন্য টি-টোয়েন্টি ওপেনাররা খেলছেন একভাবে, আর তামিম খেলছেন ঠিক তার বিপরীতভাবে। পাওয়ার প্লেতে হচ্ছে না বাউন্ডারি, হচ্ছে না প্রান্তবদল। একের পর এক ডট বল শুষে নিচ্ছে রান। চাপ বাড়াচ্ছে বাকি ব্যাটসম্যানদের ওপর। ঝুঁকি নেওয়ার কাজটা শেষ পর্যন্ত করতে হচ্ছে বাকিদের। যেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ওপেনাররা খেলছেন ১৪০ ছুঁই ছুঁই স্ট্রাইক রেটে, বাংলাদেশের শীর্ষ ওপেনার তামিম ইকবালের গত পাঁচ বছরের টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইক রেট ১২৫.৪৬!

কদিন আগেই ভারত সাদা বলের ক্রিকেট থেকে বাদ দিয়েছে শেখর ধাওয়ানকে। টি-টোয়েন্টিতে ধাওয়ানের স্ট্রাইক রেট ভারতীয় ওপেনারদের মধ্যে সবচেয়ে কম (১২৮.২৭)। তাঁর জায়গায় নেওয়া হয় ১৪৮.২৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা কে এল রাহুলকে। আরেক ওপেনার রোহিত শর্মার স্ট্রাইক রেট ১৩৮.২। অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (১৪৮.৮) ও অ্যারন ফিঞ্চ (১৫৬.৫) তো ইনিংসের শুরুতে তাণ্ডব চালানোর জন্য সুপরিচিত। দুই ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় (১৪৫.১১) ও জনি বেয়ারস্টোও (১৩৪) কম যান না।

স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে বাংলাদেশি ওপেনারদের থেকেও পিছিয়ে তামিম। কমপক্ষে ১০ ম্যাচ খেলা বাংলাদেশি ওপেনারদের মধ্যে সেরা স্ট্রাইক রেট লিটন দাসের (১৩৬.৪৬)। তাঁর পরেই আছেন সৌম্য সরকার (১২২.২০)। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দুজনই খেলছেন মিডল অর্ডারে। ইনিংসের শুরুতে পাওয়ার প্লের সুবিধা নেওয়ার মতো ব্যাটসম্যানরাই খেলছেন নিচে। আর তামিম করে যাচ্ছেন অন্য গ্রহের টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং।