Thank you for trying Sticky AMP!!

তামিমের বিকল্প জহুরুল?

লম্বা সময় পর জাতীয় দলে জহুরুল। ছবি: বিসিবি
>জহুরুল-ফরহাদ—দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন প্রায় অর্ধযুগ আগে। দুজনের সামনে সুযোগ এসেছে লম্বা বিরতিতে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার

জহুরুল ইসলাম সবশেষ বাংলাদেশ দলে খেলেছেন প্রায় ছয় বছর আগে। ফরহাদ রেজা পাঁচ বছর আগে। ফরহাদ গত আয়ারল্যান্ড সফরে ছিলেন, শ্রীলঙ্কা সফরেও ছিলেন। একাদশে জায়গা পাননি। জহুরুল জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্পেই সুযোগ পেলেন ছয় বছর পর। তাঁরা খুব ভালো করে জানেন, প্রাথমিক দল কিংবা ১৫ জনের দলে সুযোগ পাওয়াই সব নয়। একাদশে জায়গা পেতে পাড়ি দিতে হবে আরও অনেকটা পথ।

তবে এবার কন্ডিশনিং ক্যাম্পের শুরুটা জহুরুল-ফরহাদের বেশ ভালো হয়েছে। দুজনই ফিটনেস টেস্টে খুবই ভালো করেছেন। ছিলেন সেরা দুইয়ে। জহুরুল তাই স্বপ্ন দেখছেন মূল দলেও সুযোগ পাওয়ার, ‘চেষ্টা করছি দিন দিন আরও উন্নতি করতে এবং ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে। বাকিটা নির্বাচকদের ব্যাপার। তাঁদের যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমাকে নেবে। আর সুযোগ পেলে আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ।’

গত মার্চ-এপ্রিলে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খুব ভালো খেলেছেন জহুরুল। পুরো লিগে রান সংগ্রহে চারে থাকলেও তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন, লম্বা ইনিংস খেলার চেষ্টা, ব্যাটিং বিপর্যয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে এগোনো, দলকে একটা সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে দেওয়া মুগ্ধই করেছিলেন নির্বাচকদের। মাঝে অবশ্য অনেক সময় গড়িয়েছে। তবে এবার তামিম ইকবাল না থাকায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে জহুরুলের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে ক্রমেই।

জহুরুল অবশ্য বিনয়ের সঙ্গেই জানাচ্ছেন তামিমের শূন্যতা পূরণ সহজ কাজ নয়, ‘তামিম অনেক বড় মানের খেলোয়াড়। তার শূন্য স্থান পূরণ করাটা কঠিন। তবে এরপরও এটি বড় সুযোগ সাদমান, ইমরুল, সৌম্য ও আমার জন্য। যাদেরই সুযোগ দেবে, টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সংস্করণ। এখানে ভালো করা গেলে সব সংস্করণেই ভালো করা সহজ। আমি বলব যেহেতু তামিম নেই, যে-ই সুযোগ পাবে তার জন্য এটি একটি বড় সুযোগ।’

তবে তিনি যে ৩২ বছর বয়সেও নির্বাচকদের পরিকল্পনায় আছেন, এটিকে বড় করে দেখছেন জহুরুল, ‘অনেক খুশি এবং আমার কাছাকাছি বয়সের যারা আছে তারাও অনেক খুশি হবে। কোনো সময় আশাহত হওয়া যাবে না। বয়স আসলে কোনো ব্যাপার নয়। আপনি যদি ফিটনেস ধরে রাখেন এবং ভালো খেলেন, বয়স কোনো বাধাই হতে পারে না।’

ফরহাদ টানা দুটি সিরিজ দলে সুযোগ পেলে একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ পাননি। তবে এবার আশা, সুযোগ মিলবে তাঁর, ‘জাতীয় দলে না হোক, আমি নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেটের সব জায়গাতেই খেলছি। বিপিএলে অনেক ভালো খেলোয়াড়ই খেলছে। আমাকে তো সুযোগ দিতে হবে। না হলে কীভাবে বুঝবেন যে পারব। ভালো কিছুও তো হতে পারে। এই যে গত চার-পাঁচ বছর বিরতির কথা বলা হচ্ছে, আমাকে সুযোগ না দিলে বলতে পারব না। কীভাবে বলবেন যে আমি পারব কি পারব না। একটি ম্যাচ দেখে কাউকে যাচাই করা কঠিন। একটু সুযোগ দিলে আমাদের জন্যই ভালো।’