Thank you for trying Sticky AMP!!

তামিমের হাঁটুতে টিউমার

তামিম ইকবাল

মাহমুদউল্লাহর মতো সিরিজ থেকে ছিটকে যাচ্ছেন না। মাশরাফি বিন মুর্তজার মতো বন্ধ রাখতে হচ্ছে না অনুশীলন। আপাতত সংশয় নেই খেলা নিয়েও। তবে লম্বা সময় ধরে অন্য এক দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত তামিম ইকবাল। তাঁর বাঁ হাঁটুতে ধরা পড়েছে টিউমার।
গত বিশ্বকাপের কয়েক দিন আগে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে হাঁটুর অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে বিশ্বকাপে খেললেও অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞ শল্যবিদ ডেভিড ইয়াং তখনই জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে আরও একটা অস্ত্রোপচার লাগতে পারে তামিমের হাঁটুতে। সামান্য ব্যথা নিয়েও পরের সময়টা খারাপ যাচ্ছিল না তাঁর। দারুণ ফর্ম মাঠেও। কিন্তু নতুন করে সমস্যা ধরা পড়ল কিছুদিন আগে মালয়েশিয়ায় ছুটি কাটাতে গিয়ে।
হাঁটুর ব্যথা পুরোপুরি না যাওয়ায় অনেকটা কৌতূহলবশতই ওখানে একটা এমআরআই করান তামিম। টিউমারটা ধরা পড়ে তাতেই। কাল সন্ধ্যায় মুঠোফোনে তামিম বললেন, ‘মালয়েশিয়ায় করানো এমআরআইতে হাঁটুতে নতুন একটা সমস্যা ধরা পড়েছে। ডাক্তাররা বলেছেন, এটা একটা টিউমার। তবে খারাপ ধরনের টিউমার নয়। এ নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করতে না করেছেন ওনারা। আমি চাইলে যেকোনো সময় এটা অপারেশন করে ফেলে দিতে পারি।’
অস্ত্রোপচারের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে চাচ্ছেন না বাংলাদেশ দলের এই বাঁহাতি ওপেনার। আগে পরামর্শ নিতে চান ডেভিড ইয়াংয়ের, ‘এমআরআই রিপোর্ট অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হয়েছে। ওনারা অপারেশনের পর পর করা এমআরআইর সঙ্গে মালয়েশিয়ার এমআরআই মিলিয়ে দেখবেন টিউমারটা আগেও ছিল কিনা।’ তামিমের ইচ্ছা ব্যথা না বাড়লে চলতি মৌসুম শেষ করেই উঠবেন অস্ত্রোপচারের টেবিলে। আর যদি সমস্যা বেড়ে যায়, সেটা হতে পারে আগেই।
মালয়েশিয়ার চিকিৎসকদের মতো বিসিবির ফিজিও-চিকিৎসকদেরও বিশ্বাস, তামিমের টিউমার খারাপ ধরনের নয়। অস্ত্রোপচার লাগলেও সেটা দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর করানোর পক্ষে তাঁরা। ৩ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ দল পরবর্তী সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়া দল যেহেতু ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসবে, সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময়ও পাবেন তামিম।