Thank you for trying Sticky AMP!!

তাসামুল-হাসানুজ্জামানের কাছে হারল মোহামেডান

দুই সেঞ্চুরিয়ান-তাসামুল ও হাসানুজ্জমান। ছবি-প্রথম আলো।

বিপুল-মুশফিকরা হেরে গেলেন তাসামুল-হাসানুজ্জমানের কাছে। হাসাসুজ্জামানের ঝোড়ো ৯৫ ও তাসামুলের সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের ২৯০ রান ৪৩.১ ওভারেই টপকে গেছে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র। ৬ উইকেটের এই জয়ে সুপার লিগে ওঠার স্বপ্ন বেশ ভালোভাবেই বেঁচে রইল কলাবাগানের দলের।
স্কোর বোর্ডে কোনো রান জমা না হতেই ইনিংসের দ্বিতীয় বলে জসীমউদ্দিনকে হারায় কলাবাগান। এরপরই ফতুল্লায় উঠল হাসানুজ্জামান ঝড়। আজই প্রথম কলাবাগানের হয়ে মাঠে নামা ডানহাতি ব্যাটসম্যান প্রথম ইনিংসেই মৌসুমের দ্রুততম ফিফটিটা নিজের করে নিয়েছেন। মাত্র ২৫ বলেই ফিফটি করেছেন ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। হাসানুজ্জামান হুমকিতে ফেলেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডকেও। গত ১৪ মে এই ফতুল্লাতেই ৫০ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের দ্রুততম সেঞ্চুরিটা নিজের করে নিয়েছেন মাশরাফি।
১৪ তম ওভারে পেসার শুভাশিস রায়কে একস্ট্রা কাভার দিয়ে আট নম্বর ছক্কায় ৩৮ বলে ৭৫ হাসানুজ্জামানের। মাশরাফির ৫০ বলের রেকর্ড তখন হাতছোঁয়া দূরত্বে। তবে এরপরই কিছুটা খোলসে ঢুকে গেলেন তিনি। পরের ১৪ বলে ২০ রান তুললেও অক্ষত রইল মাশরাফির রেকর্ড। হাসানুজ্জামান পেলেন না প্রাপ্য সেঞ্চুরিটাও। অফ স্পিনার নাঈম ইসলাম প্রথম বল হাতে পেলেন ১৯ তম ওভারে। প্রথম বলেই উইকেট। সোজা বলটিকে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে এলকিডব্লু হলেন হাসানুজ্জামান। তাঁর নামের পাশে তখন ৫৩ বলে ৯৫ রান। 

তাঁর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১৪০ রান যোগ করা তাসামুল অবশ্য অবিচল থেকেছেন শেষ পর্যন্ত। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা করে ১২৬ বলে অপরাজিত ছিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৯টি সেঞ্চুরির মালিক। নাজমুল হোসেনের করা ৪৪ তম ওভারের প্রথম বলটাকে লং অন দিয়ে ছয় মেরেই ম্যাচের সমাপ্তি টেনেছেন তাসামুল।
১৪০ থেকে ১৬২ এই ২২ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়া কলবাগান শেষ বাঁধাটা পেরিয়েছে তাসামুল-তানভীরের অবিচ্ছিন্ন ১২৯ রানের জুটিতে। তানভীর হায়দার অপরাজিত ছিলেন ৫২ রানে।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট হলো কলাবাগানের। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট মোহামেডানের।