Thank you for trying Sticky AMP!!

তিরাশি ফেরাল ভারত, রাইডু যেন কপিল দেব!

দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে কপিল দেবকে মনে করিয়ে দিলেন রাইডু। ফাইল ছবি

১৭ রান তুলতেই ৫ উইকেট নেই! ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ভারতকে এমনই এক ধাক্কা দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এর পর ম্যাচটির ‘বাকি ইতিহাস’ হয়ে আছে কপিল দেবের এক গল্পগাথায়। সেবার কপিলের ১৭৫ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস ভারতকে সেই ধাক্কা সামলে জিতিয়েছিল ম্যাচটি।
৩২ বছর পর আজও সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কাঁপছিল ভারত। এবার ‘কপিল’ হয়ে দেখা দিলেন আম্বাতি রাইডু। কাকতালীয় ব্যাপার হলো, সেবার ষষ্ঠ উইকেটে কপিলের সঙ্গে প্রথম প্রতিরোধ গড়েছিলেন রজার বিনি। আজ রাইডুর সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটেই ১৬০ রানের জুটি গড়লেন ‘বিনি জুনিয়র’ স্টুয়ার্ট। এটাই ষষ্ঠ উইকেটে ভারতের রেকর্ড জুটি। দশ বছর আগে ধোনি-যুবরাজের ১৫৮ আগের রেকর্ড জুটিটি ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, হারারেতেই। শেষ পর্যন্ত এই জুটির কল্যাণেই হারতে হারতে ৪ রানে জিতল ভারত।
রাইডুর ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১২৪, আর বিনির ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির (৭৭) সৌজন্যে ৬ উইকেটে ২৫৫ রান তোলে সফরকারীরা। তিরাশিতে ভারতের তোলা ২৬৬ রানের পাল্টা উত্তর দিতে পারেনি ডানকান ফ্লেচারের জিম্বাবুয়ে। আজ পারবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ​শেষ ওভারে মাত্র ১০ রান দরকার—এই সমীকরণ মেলাতে পারল না। অথচ অথচ আগের তিন ওভারে ৩৫ রান তুলেছিল এই জিম্বাবুয়েই। মাপা বোলিংয়ে ভুবনেশ্বর কুমার দিলেন মাত্র ৫ রান। ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল ভারতের। রাইডুর সেঞ্চুরির দুর্দান্ত জবাব দিচ্ছিলেন এলটন চিগুম্বুরা। কিন্তু জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের ১০১ বলে ১০৪ রানে অপরাজিত ইনিংসটা বৃথা গেল। ৭ উইকেটে ২৫১ তুলে থামল জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশ সফরে সিরিজ হারা ভারত দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে গেছে জিম্বাবুয়েতে। প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে নেমেই প্রবল এক ধাক্কার মুখে পড়েছিল। মাত্র ৯ রানে মুরালি বিজয় সাজঘরে ফিরে যান। এর পর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে আর রাইডুর ৫১ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। আসল ধাক্কাটা এর পরই। মাত্র ২৭ রানের ব্যবধানে পড়ে যায় ৪ উইকেট। ১ উইকেটে ৬০ থেকে ৭ ওভারের মধ্যে ভারতীয় স্কোরকার্ড হয়েছে ৮৭/৫!

অনেক দিন পরে দলে ফেরা রবিন উথাপ্পা রানের খাতা খোলার আগেই রান আউটের খাঁড়ায় ফিরেছেন। মুরালি বিজয় আর মনোজ তিওয়ারির সংগ্রহ যথাক্রমে ১ ও ২। রাহানে ৩৪ আর কেদার যাবদ আউট হন ৫ রানে। এর পরই প্রায় ২৫ ওভার স্থায়ী সেই জুটি গড়েন রাইডু আর বিনি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পথে ১৩৩ বলের ইনিংসটায় ১২টি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন রাইডু। আর ৬টি চার ও ২ ছক্কায় ৭৬ বলে ৭৭ তুলে বিনি ৪৯তম ওভারে আউট হন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।