Thank you for trying Sticky AMP!!

তিনি দিনে ক্রিকেট খেলেন, রাতে মন্ত্রিত্ব করেন

দিনে ক্রিকেট খেলেন, রাতে করেন মন্ত্রিত্ব

তিনি একজন মন্ত্রী। হাজারো ব্যস্ততা তাঁর। প্রশাসনিক ব্যস্ততার পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যস্ততাও অনেক। সরকারি কাজের পাশাপাশি নিজের আসনের জনগণের ভালো–মন্দের দেখভালের দায়িত্বও আছে তাঁর। কিন্তু মন্ত্রী বা রাজনৈতিক পরিচয় ছাপিয়ে তাঁর আরও বড় একটি পরিচয় আছে—তিনি একজন পেশাদার ক্রিকেটার। খেলেছেন দেশের হয়েও। সংসদ সদস্য কিংবা মন্ত্রী হওয়ার পর অনেকে খেলাটেলা ছেড়ে দেন, কিন্তু তিনি তা ছাড়েননি। বরং খেলে চলেছেন নিয়মিতই। কীভাবে পারেন তিনি! কীভাবে সমন্বয় করেন মন্ত্রিত্ব আর খেলোয়াড়ি ব্যস্ততা? তাঁর মতে, এটা পুরোপুরি নির্ভর করে ব্যক্তিবিশেষের ইচ্ছাশক্তির ওপর।

কথা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারিকে নিয়ে। একসময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে ১২টি ওয়ানডে খেলেছেন। কলকাতা নাইটরাইডার্সের হয়ে আইপিএলেও ছিলেন নিয়মিত মুখ। বাংলার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটটা এখনো খেলে চলেছেন তিনি। গত বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচনে লড়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন। তাঁর দল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ক্ষমতায় থাকায় মন্ত্রিত্বও পেয়ে গেছেন। এখন তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী। বাংলার হয়ে সর্বশেষ রঞ্জি ট্রফিও খেলেছেন তিওয়ারি। তিনি জানিয়েছেন, মন্ত্রী বা বিধায়ক হিসেবে পেশাদারি ক্রিকেটটা চালিয়ে যেতে মোটেও সমস্যা হচ্ছে না তাঁর।

মন্ত্রী হয়ে ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন মনোজ তিওয়ারি

পশ্চিমবঙ্গের শিবপুরের বিধায়ক তিনি। তিওয়ারি এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, তিনি খুব সহজেই মন্ত্রিত্ব আর ক্রিকেটীয় সত্ত্বার মধ্যে সমন্বয় করে চলেছেন, ‘আসলে পুরোটাই নির্ভর করে আপনি বিষয়টি কীভাবে সামলাচ্ছেন, তার ওপর। আমি আমার আসন শিবপুরে দারুণ একটা কর্মিবাহিনী তৈরি করেছি। তারা আমাকে কাজে সাহায্য করে। আমি যেখানেই খেলি, আমার অফিসের কাগজপত্র আমার হোটেলে পৌঁছে দেয় তারা। আমি দিনের খেলা শেষে বিকেলে হোটেলে বসে প্রয়োজনীয় অফিশিয়াল কাজ সারি, সইটই করি। সেটি কর্মীরা জায়গামতো নিয়ে যায়।’

তিওয়ারি নিশ্চিত করেন, প্রয়োজনের সময় যেন তাঁর কর্মীরা তাঁকে ফোনে পান, ‘আমার যেদিন খেলা থাকে, সেটা কর্মীরা জানে। সে অনুযায়ী তারা আমাকে ফোন করে, খেলার বাইরের সময়টা কর্মীরা যেন আমাকে পায়, সেটি আমি নিশ্চিত করি। কর্মীরা খুবই ভালো আর কর্মঠ। আমাকে যেকোনো কর্মী জরুরি প্রয়োজনে গভীর রাতেও ফোন দিতে পারে। আমি সব সময়ই প্রস্তুতিতে বিশ্বাস করি। সবকিছু ঠিকঠাক মতো করতে ভালো প্রস্তুতি খুবই প্রয়োজন। সেটি আমি নিশ্চিত করি। আসলে আমি যখন ক্রিকেট খেলি, তখন আমি কেবল ক্রিকেটই খেলি, রাজনীতি নিয়ে তখন আমি আর ভাবি না। রাজনীতি করা, মন্ত্রিত্ব বা বিধায়কের কাজের সময়ও আমি সেটিই করি।’