Thank you for trying Sticky AMP!!

দ্বিতীয় দল তৈরি করতে চাইছে বাংলাদেশ

রিজার্ভ বেঞ্চ শক্তিশালী রাখার লক্ষ্য বিসিবির। ছবি: প্রথম আলো
>কেউ ইমার্জিং দলে ব্যস্ত, কেউ খেলবেন মিরপুরে দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। দুদিন পর আরেকটি দল খেলবে চট্টগ্রামে আফগানদের বিপক্ষে দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। ৫ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের আগে একই সময়ে ব্যস্ত থাকছেন প্রায় ৫০ ক্রিকেটার।

খুলনায় ইমার্জিং দল খেলছে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে। মিরপুরে প্রাথমিক দলে থাকা ক্রিকেটাররা লাল ও সবুজ, দুই দলে ভাগ হয়ে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। ১ ও ২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বিসিবি একাদশ খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এরপর চট্টগ্রাম টেস্ট।

আন্তর্জাতিক আবহে প্রায় একই সময়ে ব্যস্ত থাকবেন ৫০-এর বেশি ক্রিকেটার। এত ক্রিকেটার কীভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে, সেটির ধারণা দিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন, ‘আমাদের ৫৫ জনের একটা পুল করা আছে। সেখানে ‘‘এ’’ দল খেলছে, এইচপি খেলছে, জাতীয় দল খেলছে। তিনটি সংস্করণের তিনটি দল তৈরি করতে হচ্ছে। এই ৫০-৫৫ জন ক্রিকেটার থেকেই আমরা বিভিন্ন দল করছি। এখান থেকেই প্রস্তুতি ম্যাচের দলটি দেওয়া হয়েছে। সবাইকেই প্ল্যাটফর্ম দেওয়া হয়েছে। যে যেখানে ভালো খেলবে, তাকে ওপরের দিকে আনা হবে।’

কদিন আগেও দেশে-দেশের বাইরে এক সঙ্গে বাংলাদেশের চারটি দল ব্যস্ত ছিল। এক সঙ্গে ৫০-এর অধিক ক্রিকেটার ব্যস্ত রাখার একটাই উদ্দেশ্য, জাতীয় দলের রিজার্ভ বেঞ্চ বা পাইপলাইন সমৃদ্ধ রাখা। মিনহাজুল বললেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য, দ্বিতীয় দল তৈরি করা। এইচপি ও ‘‘এ’’ দল দিয়েই কিন্তু এটা তৈরি করতে হয়। এখানে অনেক ক্রিকেটার ভালো করছে। কিছু ক্রিকেটার অবশ্যই চেষ্টা করছে। তৈরি করে রাখা মানে জাতীয় দলে যাকে যখন দরকার হবে অবশ্যই এখান থেকে নেওয়া হবে।’

নির্বাচকদের এই উদ্যোগ তখনই সফল হবে যখন পাইপলাইন থেকে আসা ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ধারাবাহিক ভালো করতে পারবেন। আপাতত আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে অবশ্য পাইপলাইন থেকে আসা কোনো ক্রিকেটারকে দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণ। পরীক্ষিত ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের দিয়েই হতে পারে টেস্ট স্কোয়াড, যেটি ঘোষণা হবে কাল। টি-টোয়েন্টি সিরিজে দেখা যেতে পারে কিছু নতুন মুখ।