Thank you for trying Sticky AMP!!

মহেন্দ্র সিং ধোনি

ধোনির ১১ বছরের পুরোনো কৌশলেই পোলার্ড আবার আউট

তাহলে কি ১১ বছরেও নিজের এক দুর্বলতা কাটাতে পারলেন না কাইরন পোলার্ড!


অবস্থাদৃষ্টে সেটাই মনে হচ্ছে। নয়তো ১১ বছর আগের এক ভুল আবারও করতে যাবেন কেন? পোলার্ডও ভুল করলেন, আর সেটির সুবিধা পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রোটিয়ারা নিজেদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জয়টাও পেল এমন কিছু ‘লাভের’ সমন্বয়েই!

কাইরন পোলার্ড

কিন্তু কী সেই ভুল? ব্যাখ্যা করা যাক। কাইরন পোলার্ডের আউটটার দিকে নজর দিন একটু। ইনিংসের শেষ ওভার চলছে তখন, বল হাতে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। প্রথম বলে মাত্র এক রান নিয়ে পোলার্ডকে স্ট্রাইকে পাঠিয়েছেন ডোয়াইন ব্রাভো। পোলার্ডের ওপর তখন শেষ ওভারের ঝড় তোলার দায়িত্ব। কিন্তু কীসের কি!


তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে উল্টো নিজের বিপদই ডেকে আনলেন পোলার্ড। স্টাম্প বরাবর ফুল লেংথের বল করেছিলেন প্রিটোরিয়াস। স্টাম্প ছেড়ে সর্বশক্তি দিয়ে বলটিকে একদম সোজা সীমানাছাড়া করতে চেয়েছিলেন পোলার্ড। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার বুদ্ধির কাছে নাকাল হলেন এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।

টেম্বা বাভুমা

বাভুমা যেন আগে থেকেই জানতেন, শেষ ওভারের ফুল লেংথের বলগুলোকে ওভাবেই মারতে পছন্দ করেন পোলার্ড। যে কারণে প্রিটোরিয়াসের একদম পেছনে, মিড অফ থেকে কিছুটা বাঁয়ে রাসি ফন ডার ডুসেনকে রেখেছিলেন বাভুমা। ফলে পোলার্ডও মারলেন, চার-ছক্কা হওয়া দূর, বল একদম সোজা গিয়ে জমা হলো ফন ডার ডুসেনের হাতে! দর্শকেরা যরপরনাই হতবাক, অমন পজিশনে সাধারণত যে কাউকে ফিল্ডিং করতে বা ক্যাচ ধরতে দেখা যায় না!


একেবারেই যে যায় না, তা অবশ্য নয়। পোলার্ডকে আউট করার এটাই যে মোক্ষম উপায়, সেটা ১১ বছর আগেই সবাইকে দেখিয়েছিলেন সাবেক ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। বাভুমা যেন ধোনির কৌশল-বইয়ের একটা পৃষ্ঠাই ধার করলেন!

পোলার্ডকে আউট করেই সেবার শিরোপা জয়ের পথ সুগম করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস

২০১০ সালের আইপিএল ফাইনালে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের পোলার্ডকে ঠিক এভাবেই বোকা বানিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক ধোনি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৬৮ রান তুলেছিল চেন্নাই, যা সে সময়ে আইপিএল ফাইনালের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল। কিন্তু সেই লক্ষ্যটাও মুম্বাইয়ের কাছে নস্যি মনে হচ্ছিল শুধু পোলার্ডের কারণেই। ৯ বলে ২৭ করে ফেলেছিলেন। কিন্তু তখনই ধোনির উদ্ভাবনী মস্তিষ্কের জোরে পোলার্ডকে ড্রেসিংরুমে পাঠায় চেন্নাই।


বাভুমা সেদিন ফন ডার ডুসেনকে যে জায়গায় রেখেছিলেন, সেদিনও ঠিক একইভাবে মিড অফ থেকে একটু বাঁয়ে সরিয়ে বোলারের পেছনের দিকে ম্যাথু হেইডেনকে রেখেছিলেন ধোনি। বল হাতে ছিলেন প্রিটোরিয়াসেরই স্বদেশি মিডিয়াম পেসার অ্যালবি মরকেল। মরকেলকে পেটাতে গিয়ে একইভাবে মিড অফে থাকা হেইডেনের হাতে সোজা ক্যাচ দিয়েছিলেন পোলার্ড। আর তাতেই শেষ হয়ে যায় মুম্বাইয়ের শিরোপা জেতার স্বপ্ন। বাভুমার কৌশলটা যেন ধোনিকেই মনে করিয়ে দিল সেদিন।

১১ বছর আগেও পোলার্ডকে একইভাবে আউট করেছিলেন ধোনি

সেদিন ২০ বল খেলে ২৬ করেছিলেন পোলার্ড। বাভুমার মাথায় ধোনি হওয়ার ‘ভূত’ না চাপলে হয়তো শেষ ওভারে আসলেই ঝড় তুলতেন পোলার্ড, যার ফলে হয়তো উইন্ডিজের স্কোর ১৪৩-এর চেয়েও বেশি হতো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের সম্ভাবনাও তখন বাড়ত।


আজ বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ পোলার্ডকে আউট করার জন্য একই কৌশলের প্রয়োগ ঘটান কি না, দেখা যাক।