Thank you for trying Sticky AMP!!

আবু জায়েদের উইকেটপ্রাপ্তির উল্লাস।

নাজমুলদের দাপুটে জয়

স্কোরবোর্ডে ২৬৪ রান পেয়েই যেন সিংহ হয়ে উঠল নাজমুল একাদশ। ব্যাটসম্যানদের দুর্দশার বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে এই রান তাড়া করে মাহমুদউল্লাহ একাদশের জেতাও সহজ হবে না, নাজমুলেরা হয়তো আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন। রান তাড়া করতে নামতেই নাজমুল একাদশের ফিল্ডাররা মাহমুদউল্লাহদের জেঁকে ধরলেন। শুরু থেকেই স্লেজিং করে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে চেষ্টা আর সে সঙ্গে আঁটসাঁট বোলিং তো আছেই। শেষ পর্যন্ত ১৩১ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে নাজমুল একাদশ।

আজ মাহমুদউল্লাহ একাদশ গত দুই ম্যাচ ওপেন করা মোহাম্মদ নাঈমকে বসিয়ে সুযোগ দেয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী তিন নম্বর ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসানকে। নাঈম না থাকায় ওপেনিংয়ে সুযোগ মিলে ইমরুল কায়েসের। কিন্তু আজ ইমরুল আউট হন দ্রুতই। হতাশ করেছেন জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটার লিটন দাস, মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সবাই আউট হন উইকেটে থিতু হয়ে।

মাহমুদুল হাসানও বড়দের পথ ধরেন। সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজও একই ভুল করেন। নুরুল হাসান একা টিকে থেকে বাকিদের আসা যাওয়া দেখেছেন। নুরুলের ব্যাট থেকেই আসে মাহমুদউল্লাহদের দলে সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৮ রান।
মাহমুদউল্লাহদের ব্যাটিংয়ে ধস নামান মূলত বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ।

প্রেসিডেন্টস কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই লিটন, মাহমুদউল্লাহ ও মাহমুদুলের উইকেট নিয়ে মিডল অর্ডারে ফাটল ধরান। গতি ব্যবহার করে আউট করেছেন লিটন ও মাহমুদউল্লাহকে। বাজে শটের ফাঁদে ফেলেছেন মাহমুদুলকে। বাকি কাজটা করেছেন করোনা বিরতির পর নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা টেস্ট দলের পেসার আবু জায়েদ। প্রথম স্পেলে মুমিনুলকে ফেরান তিনি। শেষে এসে সাব্বির ও মেহেদীর উইকেটও নিয়েছেন জায়েদ।

শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন।

তবে বোলিংয়ে নয়, নাজমুলেরা আজ জিতেছেন ব্যাটিং দিয়ে। আগে ব্যাট করে ৩১ রানে তিন উইকেট হারালেও আফিফ হোসেন ও মুশফিকুর রহিমের ১৪৭ রানের জুটি ম্যাচের চেহারা পাল্টে দেয়। আফিফের ব্যাট থেকে আসে ৯৮ রানের চোখ জুড়ানো ইনিংস। ১০৮ বলে ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন আফিফ। সেঞ্চুরি হতে পারত আফিফের। মুশফিকের ভুলে নিশ্চিত সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় আফিফের।

ফিফটি ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন মুশফিকও। ৯৩ বলে ৫২ রান যোগ করে আউট হন তিনি। শেষের দিকে ইরফান শুকুর ও তৌহিদ হৃদয় মিলে নাজমুলদের লড়ে যাওয়ার মতো রান এনে দেন। শুকুরের ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৯৮ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরা হয়েছেন আফিফ।