Thank you for trying Sticky AMP!!

নাসিমদের গতির পর ইয়াসিরের ঘূর্ণি

ইংল্যান্ডের আরও একটি উইকেট নিয়ে ইয়াসিরের উচ্ছ্বাস। ছবি : এএফপি
>ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানি পেসাররা। বাকি কাজটা করেছেন দুই লেগস্পিনার ইয়াসির শাহ ও শাদাব খান।

উপমহাদেশের মাটিতে রেকর্ড দুর্দান্ত। কিন্তু উপমহাদেশের বাইরে গেলে কী যেন হয়ে যায় পাকিস্তানি লেগস্পিনার ইয়াসির শাহর। আধুনিক স্পিনারদের মধ্যে অন্যতম সেরা। কিন্তু উপমহাদেশ ও উপমহাদেশের বাইরের রেকর্ডে আকাশ–পাতাল পার্থক্য। নামের পাশে এর মধ্যেই তাঁর ২১৭ উইকেট। বেশির ভাগই উপমহাদেশে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেমন বোলিং গড় ২৪.৫৬। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া (৮৯.৫০) ও দক্ষিণ আফ্রিকায় (১২৩.০০) গেলে মনে হয় তিনি উইকেটই নিতে জানেন না! নিউজিল্যান্ডে ২ ইনিংস বল করে কোন উইকেট পাননি। উপমহাদেশের বাইরে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডেই সফল ইয়াসির। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের লেগ স্পিন দুর্বলতা কারই বা না জানা! আর ইংল্যান্ডে ২০১৬ সালে দারুণ সময় কাটিয়েছেন ইয়াসির। লর্ডস টেস্টে দুই ইনিংস মিলে ১০ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে টেস্ট জেতান ইয়াসির।

২০২০ সালে প্রথম টেস্টেই ২০১৬ সালের স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছেন ইয়াসির। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ডের ৪ নিয়েছেন। আরেক লেগ স্পিনার শাদাব খান নিয়েছেন দুটি। দুই লেগস্পিনারের বোলিংয়ে ইংল্যান্ড অল আউট ২১৯ রানে।

দ্বিতীয় দিন শেষ সেশনে পাকিস্তানি পেসাররা কাঁপিয়ে দিয়েছিল ইংলিশদের। এরপর ওলি পোপ ও জস বাটলার জুটি গড়ে বিপদ কিছুটা সামাল দেন। উইকেটে থিতু হয়ে ৬২ রান করা ওলি পোপ আউট হয়েছেন আজ তৃতীয় দিনের শুরুতেই। ফাস্ট বোলার নাসিম শাহর বলে গালিতে ক্যাচ দেন পোপ।

বাকি কাজটা করেছেন ইয়াসির ও শাদাব। বাটলার, ক্রিস ওকস ও ডম বেসের উইকেট নেন ইয়াসির। উইকেট থেকে টার্ন ও বাউন্স দুটোই পাচ্ছিলেন ৩৪ বছর বয়সী লেগস্পিনার। ধারাবাহিকভাবে ভালো জায়গায় বল করে গেলেই ফল পাওয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। ইংলিশদের লেজের ব্যাটসম্যানরা চেষ্টা করলেও খুব বেশি কিছু করতে পারেননি।