Thank you for trying Sticky AMP!!

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও দারুণ কিছু?

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই নায়ক মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের সঙ্গে আতহার। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলীয় লক্ষ্য ছিল শেষ আটে যাওয়া। সেটি পূরণ হয়েছে। এরপর? স্বপ্নের সীমানা স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে। তবে তার আগে নিউজিল্যান্ড-পরীক্ষা। যেকোনো লড়াই তো পরীক্ষা। কথা হলো, এ পরীক্ষা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিউদের বিপক্ষে ব্যর্থ হলে ক্ষতি নেই। তবে, সফল হলে বড় পরীক্ষার আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে বহুগুণে। আতহার আলী খান বলছেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেমনটা খেলেছে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তেমনটা খেলতে পারলে ভালো কিছুই হবে। তবে বাস্তবতা মেনে নিউজিল্যান্ডকেই এগিয়ে রাখছেন তিনি।
সাবেক ক্রিকেট তারকা আতহার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের চারটি ম্যাচই দেখেছেন সামনে থেকে। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরেছেন গত পরশু। আজ দুপুরে কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে প্রথম আলোকে বললেন, ‘এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলই সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। কাজেই এ মুহূর্তে নিউজিল্যান্ড হচ্ছে হট ফেবারিট দল। আমরা বলছি, ঘরের মাঠে তাদের বাংলাওয়াশ করেছি। দুই দলের সর্বশেষ মুখোমুখিতে ৭-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও মনে রাখতে হবে, আমরা খেলছি নিউজিল্যান্ডের মাঠে। ভিন্ন কন্ডিশনে বিশ্বকাপের হট ফেবারিট দলটা আমাদের প্রতিপক্ষ। ফর্ম বিচার করলে নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে রাখতেই হবে।’
তবে আতহার এ–ও মনে করিয়ে দিলেন, কিউইদের জন্য বাংলাদেশ সহজ প্রতিপক্ষ হবে না, ‘বাংলাদেশও এ মুহূর্তে দারুণ ছন্দে রয়েছে। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে অনেক গুণ। ওই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকারের ব্যাটিং আমাদের আশান্বিত করেছে। টিম ম্যানেজমেন্ট একজন স্পিনার খেলিয়েছে। আমাদের পেসাররা অসাধারণ খেলেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেমনটা খেলেছে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তেমনটা খেলতে পারলে ভালো কিছুই হবে। তবে বাস্তবতা মেনে বাংলাদেশি সমর্থকদের বুঝতে হবে, কাল মাশরাফিদের প্রতিপক্ষ এ বিশ্বকাপে সবচেয়ে কঠিন দলটা। তাদের হারানো অনেক কঠিন ব্যাপার।’

এ মুহূর্তে বাংলাদেশের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে। কারণ তাঁর চোট ও স্লো ওভাররেটে জরিমানা। এ প্রসঙ্গে বর্তমানে ধারাভাষ্যকার আতহার বললেন, ‘এ ম্যাচে মাশরাফিকে বিশ্রাম দেওয়াটা খারাপ কিছু হবে না। এ নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। এ মুহূর্তে দলের সমন্বয় নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তবে আরাফাত সানির জায়গায় তাইজুল ইসলামকে একটি সুযোগ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ভাবতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।’
এ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল শুধু এক-দুজনের ওপর নির্ভরশীল নয়। এখন আক্ষরিক অর্থেই একটা দল হয়ে উঠছে। টিম বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা যেন এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। আতহারের কণ্ঠে সে কথারই অনুরণন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এখন বাংলাদেশ খেলছে একটি দল হিসেবে। ক্রিকেট হচ্ছে দলীয় খেলা। ব্যক্তিগত নৈপুণ্য থাকবে। তবে দিন শেষে মানুষ দেখে দলের সাফল্যটাই। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের কাছে আমাদের বিপুল প্রত্যাশা। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এ দুজনের ব্যাট থেকে রান আসেনি। তারপরও মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, সৌম্যের প্রচেষ্টায় ২৭৫ রান করেছে বাংলাদেশ। অসাধারণ একটা পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি। সবার প্রচেষ্টায় এখন দল জিতছে। এটাই তো আমরা চাই।’