Thank you for trying Sticky AMP!!

নেবু বেশি কচলে তেতো বানালেন শোয়েব

পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার। ছবি: টুইটার

নেবু কচলালে তেতো হয়। আইসিসির সঙ্গে শোয়েব আখতারের পরিস্থিতি দেখে প্রবাদটি অনেকেরই মনে পড়তে পারে।

ঘটনাটা ‍শুরুতে ছিল একরকম। এখন সম্ভবত অন্যরকম। আইসিসির রসিকতা গায়ে লেগেছে পাকিস্তানি পেস কিংবদন্তির। সহ্য না করতে পেরে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির বিরুদ্ধে 'পক্ষপাত' আচরণের অভিযোগ তুলেছেন শোয়েব।

তাহলে শুরু থেকে ঘটনাটা বলা যাক। অতীত ও বর্তমান ক্রিকেটারদের মিলিয়ে মোট ২০জনের প্রতিদ্বন্দ্বী জোড়া বেছে একটি টুইট করেছিল ক্রিকইনফো। সেখানে বিরাট কোহলির প্রতিপক্ষ শেন ওয়ার্ন, বাবর আজমের গ্লেন ম্যাকগ্রা, তেমনি স্মিথের প্রতিপক্ষ শোয়েব। এই প্রতিদ্বন্দ্বী জোড়াগুলো থেকে যেকোনো একটি জোড়া বেছে নিতে টুইট করেছিল ক্রিকইনফো।

টুইটে আইসিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন শোয়েব। ছবি: টুইটার

টুইটটি শোয়েবের চোখে পড়ার পর থেকেই ঘটনার শুরু। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুততম ডেলিভারির রেকর্ড তাঁর। তবে খেলোয়াড়ি জীবনে যতটা না অর্জন, ইউটিউব আর টুইটারে নিজেকে তার চেয়ে অনেক বেশি বলে দেখানোর চেষ্টা করেন শোয়েব। গতির ঝড় তোলা নিয়ে গর্ব করেন, অথচ সেই গতি নিয়েও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র ৪৪৪ উইকেট। তাঁর সময়কার গ্লেন ম্যাকগ্রা, চামিন্দা ভাস কিংবা শন পোলকদের কথা না হয় বাদ-ই দেওয়া গেল। এমনকি আরেক গতি তারকা ব্রেট লির ওয়ানডে উইকেট সংখ্যাই আরেকটুর জন্য শোয়েবের ক্যারিয়ারের অর্জনকে ছাড়িয়ে যেত। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোয়েবের দম্ভ দেখলে সেটা ভুলে যেতে পারেন অনেকেই।

সে যাই হোক, আইসিসির টুইট রি-টুইট করে শোয়েব দম্ভোক্তি প্রকাশ করেন, 'এমনকি এখনো, তিনটি শক্ত বাউন্সার দিয়ে চতুর্থ বলে স্টিভেন স্মিথকে আউট করতে পারব।' ৪৪ বছর বয়সী সাবেক পেসারের এ মন্তব্যের পর শোরগোল পড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। স্মিথ ডন ব্র্যাডম্যানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেটিং তোলা ব্যাটসম্যান।
আইসিসি তাই রসিকতার লোভ সামলাতে পারেনি। শোয়েবের টুইট ছবি আকারে টুইটারে পোষ্ট করে আইসিসি। সঙ্গে আরও দুটি ছবি। সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণত 'ট্রল' করতে ব্যবহার করা হয়। বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডান হাস্যকর কিছু দেখে চেষ্টা করেও নিজের হাসি থামাতে পারছেন না এমন দুটি ছবি।

আইসিসিকে খোঁচা মারতেও ছাড়েননি শোয়েব। ছবি: টুইটার

শোয়েব যে ব্যাপারটি হজম করতে পারেননি তা পরিষ্কার কাল তাঁর দুটি টুইটে। প্রথম টুইটে আইসিসির রসিকতার টুইটটি জুড়ে দিয়ে তিনি লিখেছেন, ' আইসিসি নিরপেক্ষতা কীভাবে জানালা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে তার প্রতীকি টুইট এটি। সত্যি বলতে সেখানে এভাবেই সবকিছু করা হয়।'
এরপর শোয়েব আরেকটি টুইট করেন। একটি ভিডিও জুড়ে দেন টুইটে। গ্যারি কারস্টেন, ব্রায়ান লারা, সৌরভ গাঙ্গুলীদের আগুনে বাউন্সারে কীভাবে আহত করেছেন সেসব দৃশ্য এবং তাঁর কিছু ইয়র্কারের দৃশ্য নিয়ে বানানো ভিডিওটি। এ টুইটের ক্যাপশনে শোয়েব লিখেছেন, 'প্রিয়, আইসিসি নতুন মিম কিংবা ইমোজি খুঁজে বের করো। দুঃখিত, আমি বাস্তব ভিডিও ছাড়া এমন কিছু পাইনি।'

শোয়েবের এই শেলের আওয়াজ নিশ্চয়ই টের পেয়েছে আইসিসি।