Thank you for trying Sticky AMP!!

পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে পাকিস্তান

বাংলাদেশের বিপক্ষে তরুণদের খেলিয়ে দেখতে চায় পাকিস্তান। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজকে ভবিষ্যতের দল গঠন করার সিরিজ হিসেবে দেখছেন বাবর আজমেরা।

বাংলাদেশ কদিন আগেই ভারতকে ভারতের মাটিতে সিরিজ হারের চোখরাঙানি দিয়েছে। ওদিকে শেষ দশ ম্যাচের আটটিতেই হেরেছে পাকিস্তান। কিন্তু হারের বৃত্তে থাকলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে যাচ্ছে স্বাগতিক পাকিস্তান। সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে সাতজনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আনকোরা। তাঁদের মধ্যে চারজন আছেন অভিষেকের অপেক্ষায়। দলে রাখা হয়নি অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ আমির ও ওয়াহাব রিয়াজকে।

গত অক্টোবর পর্যন্ত পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দল ছিল সুখের সংসার। হাজার হলেও বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি দল তারা। ধাক্কাটা এল ঠিক তখনই। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সারির শ্রীলঙ্কার কাছে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে বসে পাকিস্তান। এক সিরিজ হারেই সব হয়ে গেল ওলট–পালট। সরফরাজ আহমেদ অধিনায়কত্ব হারান। নতুন অধিনায়ক হন বাবর আজম। তাতেও ভাগ্য বদলায়নি। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি সিরিজে আবারও ধবলধোলাই।

এবার বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন পরীক্ষায় নামছে পাকিস্তান। দলের প্রধান কোচ ও নির্বাচক মিসবাহ উল হক বাংলাদেশ সিরিজকে দেখছেন এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে, ‘সিরিজে আমরা তরুণদের দেখতে চাই। দেখি ওরা কেমন করে। এরপর পিএসএল আছে। পিএসএলের পর আমরা বুঝতে পারব আমাদের কাকে নিয়ে এগোতে হবে।’

আজ লাহোরে সিরিজের ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজমও একই ইঙ্গিত দিলেন। অভিষেক হতে পারে দুই তরুণ হারিফ রউফ ও আহসান আলী। তিনি বলছিলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিচ্ছি না। আমরা শুধু ইতিবাচক ক্রিকেটে মনোযোগ দিচ্ছি। তরুণেরা যেভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করছে, আমরা যতই ওদের সাহস দেব, ততই ভালোই করবে।’

পাকিস্তান টি-টোয়েন্টিতে এক নম্বর দল হয়েছে তাদের বোলিং দিয়ে। পেসার মোহাম্মদ আমির ও লেগ স্পিনার শাদাব খান ছিলেন পাকিস্তান বোলিংয়ের ভিত্তি। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের ব্যাটিংয়ে বেশ আস্থা রাখছেন বাবব, ‘ব্যাটিং আমাদের শক্তি। আমাদের ৮-৯ পর্যন্ত ব্যাটসম্যান আছে। শাদাব ফিরেছে, ইমাদ আছে। তাই ব্যাটিংকেই মূল শক্তি বলব।’ লাহোরের উইকেট থেকেও বড় স্কোর প্রত্যাশা করছেন বাবর। কাল তিনি বলছিলেন, ‘এখানকার উইকেট সাধারণত একটু মন্থর। তবে ১৮০-১৯০ রান হয় এখানে।’