Thank you for trying Sticky AMP!!

পাকিস্তানের মাটিতেও ইতিহাস বাংলাদেশের

দারুণ এক ইনিংসে ইতিহাস রচনা ফারজানার। ছবি: পিসিবি টুইটার

গতকালই ইতিহাস রচনা করেছে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। সব সংস্করণ মিলে ভারতের মাটিতে প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশের পুরুষ জাতীয় দল। আজ তেমনই এক ইতিহাস রচনা করল নারী ক্রিকেট দল। আজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে ১ উইকেটে হারিয়েছেন রুমানা-সালমারা। পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেটে এটিই বাংলাদেশের প্রথম জয়। এ জয়ে পাকিস্তানে কোনো সিরিজ ড্র করতেও সক্ষম হলো বাংলাদেশ।

ক্রিকেটে ছেলেদের নিয়ে উন্মাদনা থাকলেও কোনো বড় টুর্নামেন্টের শিরোপা মেয়েরাই এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে। ২০১৮ এশিয়া কাপ জয়ের পর এবারও ইতিহাস রচনা মেয়েদের হাত ধরে। পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশ পুরুষ দল ২০০৯ সালের আগে দুটি সফরে গিয়ে করতে পারেনি, বাংলাদেশ নারী দল তাই করল। পাকিস্তানের মাটিতে তাদেরই হারিয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো সিরিজে না হেরে ফিরল।

ম্যাচের প্রথমার্ধে শেষে জয়টাকে দূর লক্ষ্য বলেই মনে হচ্ছিল। ১০ ওভার পেরোনোর আগেই পঞ্চাশ পেরিয়েছে পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছে ৫৮ রানে। দ্বিতীয় উইকেটেও এসেছে ৪৭ রান। ২৩তম ওভারে নাহিদা খান(৬৩) ফেরার পর ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। এর পর আর বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি পাকিস্তান। দলকে ১৫৭ রানে রেখে ফিরেছেন বিসমাহ মারুফ (৩৪)। রানের গতিটা এর পর আর ধরে রাখতে পারেনি পাকিস্তান। শেষ ভরসা আলিয়া রিয়াজ (৩৬) ফিরেছেন স্লগ ওভারের ঠিক আগ মুহূর্তে। এরপরই ভেঙে পড়েছে পাকিস্তান। ১৮ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানে অলআউট পাকিস্তান। ৩৫ রানে ৩ উইকেট তুলে অধিনায়ক রুমানা আহমেদই সেরা বোলার।

রান তাড়ার শুরুটা বাংলাদেশের ভালো হয়নি। ২৯ রানের উদ্বোধনী জুটির ২৭ রানই তুলে আউট হয়ে গেছেন শারমিন সুলতানা। দলের স্কোরে কোনো পরিবর্তন না এনে ফিরেছেন নিগারও। এরপরই সেরা সময়টা পার করেছে বাংলাদেশ। ১৮ ওভারে ৮২ রানের জুটি গড়েছেন ফারজানা ও মুরশিদা। ৪৪ রান করে ওপেনার মুরশিদার বিদায়ের পরও হাল ছাড়েননি ফারজানা। অধিনায়ক রুমানাকে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেছেন আরও ৫৫ রান। ৩১ রান করে রুমানা বিদায় নেন ৩৯তম ওভারে।

রুমানা যখন আউট হয়েছেন বাংলাদেশের স্কোর তখন ১৬৬। ৬৮ বলে ৪৫ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। হাতে ছিল ৬ উইকেট। মাত্র ২৪ রান দূরে রেখে ফিরেছেন ফারজানা। ৬৭ রানের ইনিংসে ৬টি চার ছিল তাঁর। এরপরই বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ। ১৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে হারের মুখে পড়েছিল দল। ৯ বলে ৬ রানের সমীকরণ মেলানোর দায়িত্ব ছিল জাহানারা ও নাহিদার কাঁধে। এক বল আগে সেটা মিটিয়েছেন দুজন। এতেই এসেছে স্মরণীয় এই জয়।

দল জিতিয়ে শুধু ম্যাচ সেরাই নন, সিরিজ সেরাও হয়েছেন ফারজানা।