Thank you for trying Sticky AMP!!

পাকিস্তান দলে দলাদলি শুরু হয়ে গেছে!

টানা হারে নাকাল পাকিস্তান দলে এবার কলহের সুর। ছবি: টুইটার
>ভারতের সঙ্গে লজ্জার হারে টালমাটাল পাকিস্তান ক্রিকেট। এবার দেশটির বেশ কয়েকটি শীর্ষ সংবাদমাধ্যমের মতে, ড্রেসিং রুমে দলাদলি চলছে। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইমাদ ওয়াসিম আর অন্য গ্রুপ ওঠবস করছে পেসার মোহাম্মাদ আমিরের কথায়। আর এ নিয়ে দলের অধিনায়ক সরফরাজের বেহাল অবস্থা।

২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের বড় হারে এমনিতেই বেশ বিপাকে পাকিস্তান দল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয়ে যা প্রশংসা কুড়িয়েছিল তার সবটাই এখন বিস্মৃত। ভারতের সঙ্গে কোনো প্রতিরোধ না গড়েই স্রেফ উড়ে যাওয়াকে পাকিস্তানি সমর্থকেরা কোনোভাবেই হজম করতে পারছেন না। কিন্তু ঠিক এমন সময়েই পাকিস্তানের শীর্ষ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ড্রেসিং রুমে কোন্দল এবং গ্রুপিংয়ের কারণেই নাকি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে পাকিস্তান!

পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল ‘সামা নিউজ’ একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের বিপক্ষে আউট হওয়ার পরপরই নাকি ড্রেসিং রুমে গিয়ে কয়েকজন সতীর্থের ওপর নিজের ক্ষোভ ঝেড়েছেন অধিনায়ক সরফরাজ। এই সময় তিনি ইমাদ ওয়াসিম এবং ইমাম-উল-হক সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নাকি দলাদলি এবং অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন।

প্রায় একই ধরনের আরেক প্রতিবেদনে টিভি চ্যানেল ‘দুনিয়া নিউজ’ ড্রেসিং রুমে বেশ কয়েকটি গ্রুপের ফিরিস্তি দিয়েছে। ইমাদ ওয়াসিম এবং মোহাম্মাদ আমিরকে গ্রুপিংয়ের হোতা হিসেবে অভিহিত করেছে তারা। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের হারের পর শোয়েব মালিক, ইমাদ ওয়াসিম, ইমাম-উল-হক এবং বাবর আজমসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার নাকি সরফরাজের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। ভারত ম্যাচের পর মাঠেই ক্ষুব্ধ আচরণ করতে দেখা গেছে মোহাম্মদ আমিরকে।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই পাকিস্তানের দুজন ক্রিকেটারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়টি অস্বীকার করেন। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে আউট হওয়ার পর সরফরাজ যে ড্রেসিং রুমে কয়েকজন ক্রিকেটারের ওপর রাগ ঝেড়েছেন সে বিষয়টি অবশ্য অকপটেই স্বীকার করেছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ক্রিকেটার বলেন, ‘সরফরাজ কাউকে দোষারোপ করেনি বা গ্রুপিং নিয়েও কোনো কথা বলেনি। তিনি শুধু নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং সবাইকে নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করতে অনুরোধ করেছেন।’ কিন্তু পাকিস্তানি গণমাধ্যমে চাউর হওয়া দলে গৃহদাহের সংবাদকে আমলে না নিতে অনুরোধ করেন সেই ক্রিকেটার, ‘অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হারের পরেও আমরা নিজেদের মধ্যে ভুল-ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু মাঠে পারফরম্যান্স ভালো না হলে পাকিস্তানি মিডিয়ায় বরাবরই এ ধরনের কল্পনাপ্রসূত খবর প্রচারিত হয়।’

আগামী ২৩ জুন লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের ধারায় ফিরতে মাঠে নামবে পাকিস্তান। ৫ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট তালিকার নয়ে থাকা পাকিস্তানের জন্য ম্যাচটি বাঁচা-মরার।