Thank you for trying Sticky AMP!!

পাকিস্তান দলে বাকি ১৪ জনের জায়গা নেই!

পাকিস্তানি সাবেক খেলোয়াড় মোহাম্মদ ওয়াসিমের মতে বাবর আজম ছাড়া পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা আর কারও নেই।
>পুরো টুর্নামেন্টেই অসাধারণ ছিলেন বাবর আজম। পাকিস্তানি সাবেক তারকা মোহাম্মদ ওয়াসিম তাই বলেই বসলেন, বাবর আজম ছাড়া আর কেউই পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা রাখেন না। বাকি ১৪ জনকে তিনি ফেলে দিয়েছেন বাতিলের খাতায়

শুরুটা বেঢপ হলেও শেষ অতটাও খারাপ ছিল না। যদিও নিউজিল্যান্ডকে হটিয়ে শেষ চারের লড়াইয়ে টিকতে পারেনি পাকিস্তান । সেটিও রান রেটের খাঁড়ায়। পাকিস্তানের সমর্থকেরা যখন ‘ইশ্‌ একটুর জন্য’ নিয়ে আক্ষেপ করছেন, সে সময় চটেছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার মনে করেন, এই দলের ১৫ জনের মধ্যে একজন বাদে কারও পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা নেই। সেই একজন হলেন বাবর আজম।

এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে ইতিবাচক নামটি বাবর। বিশ্বকাপে পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যান নিয়েছেন ৪৭৪ রান। মোহাম্মদ ওয়াসিম তাই মুগ্ধ হয়েছেন বাবর আজমে, ‘বাবর আজম ছাড়া আর কেউই পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করার কোনো যোগ্যতাই রাখে না।’

দলে কোনো বিকল্প খেলোয়াড় কেন ছিল না, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওয়াসিম বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে পাকিস্তান মাত্র ১২ জন খেলোয়াড় নিয়ে খেলেছে। দলে কোনো বিকল্প খেলোয়াড় ছিল না। আমাদের শুধু একটা খেলোয়াড়ই ছিল, সে বাবর আজম। এক দিনের ক্রিকেটে ওই কেবল পাকিস্তান দলে বিনা প্রশ্নে জায়গা পেতে পারে। বাকিরা দলের কোনো উপকারেই আসছিল না। হয় তারা ধারাবাহিক ক্রিকেটার নয়, তা না হলে তাদের পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা নেই।’

১৯৯২ বিশ্বকাপ জিতলেও পাকিস্তানের স্বর্ণযুগ আসলে কেটেছে ১৯৯৯ আর ২০০৩ বিশ্বকাপে। একঝাঁক দুর্দান্ত খেলোয়াড় ছিলেন তখন। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতার, সাঈদ আনোয়ার, সাকলায়েন মোস্তাক, ইনজামাম-উল হক। ছিলেন আবদুল রাজ্জাক আর আজহার মেহমুদের মতো পেস-অলরাউন্ডারও। সেই তারকার ছড়াছড়ি আর নেই। পাকিস্তান ক্রিকেটে প্রতিভার কেন এত সংকট দেখা দিল, এ নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

অবশ্য পাকিস্তানের ক্রিকেট সংস্কৃতিই এমন। জিতলে কোনো কথা নেই। না পারলে কথা ওঠে—কিছুই ঠিক নেই।