Thank you for trying Sticky AMP!!

পুরোনো মুখেই আস্থা শোয়েবের

নতুন বল হাতে মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলেন শোয়েব আখতার। ছবি: টুইটার

নতুন বল হাতে ব্যাটসম্যানদের সামনে মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলেন শোয়েব আখতার। ১০০ মাইলের সীমা অতিক্রম করা ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ বোলিং প্রান্তের আসলেই ধুকধুকানি শুরু হয়ে যেত অনেক ব্যাটসম্যানের। আরেকজন শোয়েব আখতার এখনো খুঁজে বেড়াচ্ছে পাকিস্তান।

নতুন শোয়েবের দেখা এখনো পায়নি পাকিস্তান। তাই বলে তো বসে থাকলে চলছে না। নতুন বল তো কারও হাতে তুলে দেওয়া লাগবেই। পাকিস্তান এ ক্রিকেট বিশ্বকাপে এসেছে পাঁচজন পেসার নিয়ে। নতুন বল হাতে মোহাম্মদ আমির আর হাসান আলীকেই পছন্দ হয়েছে শোয়েবের।

পাকিস্তানের ঘোষিত প্রাথমিক স্কোয়াডে নাম ছিল না আমিরের। জলবসন্তের কারণে খেলতে পারেননি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও। টানা তিন বিশ্বকাপে অনুপস্থিত থাকবেন আমির এমনটাই ধরে নিয়েছিলেন সবাই। এর আগেও যে বলার মতো কিছু করেননি গত দুই বছরে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ৪ ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়া আমির তারপরের ১৪ ম্যাচে পেয়েছেন মাত্র ৪ উইকেট। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভয়ংকর আমিরকে খুঁজেও পাওয়া যায়নি গত দুই বছরে। কিন্তু ইংল্যান্ডের মাটিতে বোলারদের বাজে পারফরম্যান্স বিশ্বকাপের দরজা খুলে দিয়েছে আমিরের জন্য।

শেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ সামলেছিলেন হাসান আলী আর মোহাম্মদ আমির। একদিকে ব্যাটসম্যানদের চাপের ওপর রাখতেন আমির, অন্যদিক দিয়ে উইকেট তুলে নিতেন হাসান আলী। এবারও সেরকমই কিছু আশা করছেন শোয়েব আখতার, ‘ইংল্যান্ডের পিচে পাকিস্তানের উচিত আমির আর হাসান আলীকে নেওয়া। এর আগেও ইংল্যান্ডের পিচ হাসানের মতো বোলারকে সহায়তা করেছে। এবারও করবে।’

পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার তরুণ শাহিন আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাসনাইনের ওপর আস্থা রাখতে চাইছেন ২০১৯ বিশ্বকাপে। তবে শোয়েব অভিজ্ঞতার ওপরই জোড় দিচ্ছেন বেশি, ‘বল যখন পুরোনো হয়ে যাবে তখন ওয়াহাবের প্রয়োজন হবে। পুরোনো বলে ওয়াহাব ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে কতটা ভয়ংকর হতে পারে রিয়াজ। ডেথ ওভারে ওয়াহাবই সবচেয়ে ভালো।’