Thank you for trying Sticky AMP!!

ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল আকরাম-ইনজামামের!

কাদির মনে করেন, আকরাম-ইনজির ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। ফাইল ছবি।

ফাঁসিতে ঝোলা উচিত ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট ইতিহাসের দুই সেরা ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম ও ইনজামাম-উল-হকের! পাকিস্তানের কিংবদন্তি লেগ স্পিনার আবদুল কাদিরের মতে, এই দুজন ছিলেন নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারির দুই হোতা। কাদির কেবল এই দুইয়েই থেমে থাকেননি। বলেছেন ওয়াকার ইউনিস ও মুশতাক আহমেদের নামও। তিনি বিশ্বাস করেন, পাকিস্তান ক্রিকেট দলের এই তারকাদের কঠোর শাস্তি হলে পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারির বাকি ঘটনাগুলো ঘটত না।

নব্বইয়ের দশকে ক্রিকেট দুনিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছিল এই ম্যাচ পাতানো ইস্যু। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই কেলেঙ্কারি তদন্তে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশনও গঠন করেছিল। বিচারপতি মালিক কাইয়ূমের নেতৃত্বাধীন সেই কমিটি একটি প্রতিবেদনও পেশ করেছিল। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী আজীবন নিষিদ্ধ হন পাকিস্তানের অন্যতম সাবেক অধিনায়ক সেলিম মালিক। নিষিদ্ধ হন পেসার আতাউর রেহমান। আকরাম, ওয়াকার, ইনজামাম ও মুশতাকের বিরুদ্ধেও তদন্ত হয়েছিল। কিন্তু প্রমাণের অভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবে আকরামকে অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। কাইয়ূম কমিশন সে সময় তদন্ত চালিয়েছিল ওপেনার সাঈদ আনোয়ারের বিরুদ্ধেও। এই ক্রিকেটারদের জরিমানা ও পাকিস্তান ক্রিকেটের সম্পৃক্ত না করার সুপারিশও করেছিল এই কমিশন।
কাদির প্রশ্ন তোলেন, ‘কাইয়ূম কমিশনের সুপারিশ কখনোই পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলো না কেন?’ তিনি সেলিম মালিক ও আতাউর রেহমানের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই দুজনেও হয়তো বেঁচে যেত যদি তারা তাদের সেরা ফর্মে থাকত। ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে সেলিম মালিক ও আতাউর রেহমানকে “বলির পাঁঠা” বানানো হয়েছিল। এটা আমাদের দেশে (পাকিস্তানে) সব সময়ই হয়। ছোটখাটো অপরাধীকে শাস্তি দিয়ে বড় অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ওয়াসিম, ওয়াকার, ইনজামাম ও মুশতাক কখনো না কখনো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের হয়ে কাজ করেছে। এই যদি হয়, তাহলে কাইয়ূম কমিশনের সুপারিশ কীভাবে বাস্তবায়িত হলো?’
সম্প্রতি পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) হইচই ফেল দিয়েছে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি। এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত শেষে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে পাঁচ ক্রিকেটারের ওপর। এরা হলেন শারজিল খান, খালিদ লতিফ, শাহজাইব আহমেদ, মোহাম্মদ ইরফান ও নাসির জামশেদ। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন