Thank you for trying Sticky AMP!!

ফাইনাল ব্যর্থতা ঘুচবে এবার?

এবার ফাইনালের বেদনা ঘুচবে? ফাইল ছবি
>ফাইনালটা যেন জেতাই হচ্ছে না বাংলাদেশের। চারটি ওয়ানডে টুর্নামেন্ট, দুটি টি-টোয়েন্টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফাইনাল মানেই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের আক্ষেপ। আজ ডাবলিনে কি সে আক্ষেপ দূর হবে বাংলাদেশের? আগের ফাইনালগুলোর দিকে চোখ বুলিয়ে এখানে দেখে নিন, কতটা কষ্টের ছিল সে ব্যর্থতাগুলো

স্বপ্নভঙ্গ মুরালির ব্যাটে

ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ, মিরপুর, ২০০৯
বাংলাদেশ: ৪৯.৪ ওভারে ১৫২
শ্রীলঙ্কা: ৪৮.১ ওভারে ১৫৩ /৮
ফল: শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে জয়ী


হাতে মাত্র ১৫২ রান, ৬ রানে শ্রীলঙ্কার প্রথম ৫ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। মুরালি ব্যাটিংয়ে নামেন ১১৪ রানে ৮ উইকেট খোয়ানোর পর। ১৬ বলে ৩৩ রান করে বাংলাদেশের মুঠো থেকে কেড়ে নিলেন শিরোপা।

২ রানের কান্না

এশিয়া কাপ ফাইনাল, মিরপুর, ২০১২
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৩৬ /৯
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৩৪ /৮
ফল: পাকিস্তান ২ রানে জয়ী।

শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। প্রথম পাঁচ বলে এল ৫ রান। ১ বলে ৪ রানের সমীকরণটা আর মেলাতে পারেননি শাহাদাত হোসেন, নিতে পারলেন মাত্র ১ রান। বোলিংয়ে শাহাদাতই পাকিস্তানের ইনিংসের শেষে ওভার ১৯ রান দিয়েছিলেন। ম্যাচ শেষে সাকিব-মুশফিকদের কান্না চিরন্তন ছবি হয়ে আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।

অসহায় আত্মসমর্পণ

এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি, মিরপুর, ২০১৬
বাংলাদেশ: ১৫ ওভারে ১২০ /৫
ভারত: ১৩.৫ ওভারে ১২২ /২
ফল: ভারত ৮ উইকেটে জয়ী।

১৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে আফসোস করার কোনো সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ১৩ বলে ৩৩ রান না করলে ১২০-ও হয় না বাংলাদেশের। রান তাড়ায় ভারত ৫ রানে প্রথম উইকেট হারালেও শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি মিলে লক্ষ্যটাকে ছেলেখেলা বানিয়ে ফেলেন।

আবারও ‘লঙ্কান’ হতাশা

ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ, মিরপুর, ২০১৮
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২২১
বাংলাদেশ: ৪১.১ ওভারে ১৪২
ফল: শ্রীলঙ্কা ৭৯ রানে জয়ী।

৬৩ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ২২১ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা। রান তাড়ায় বাংলাদেশ ইনিংস শুরুর আগেই হারিয়ে ফেলে সাকিবকে (হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট)। মাহমুদউল্লাহ প্রতিরোধ না করলে বাংলাদেশ ১৪২-ও করতে পারত না। হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ করেন শ্রীলঙ্কার অভিষিক্ত পেসার শেহান মাদুশঙ্কা।

শেষ বলের দুঃখ

নিদাহাস টি-টোয়েন্টি, কলম্বো, ২০১৮
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৬ /৮
ভারত: ২০ ওভারে ১৬৮ /৬
ফল: ভারত ৪ উইকেটে জয়ী।

১৮ তম ওভারে মাত্র ১ রান দিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তাতে ভারতের সমীকরণটা হয়ে গেল ১২ বলে ৩৪ রানের। দিনেশ কার্তিক এসেই রুবেল হোসেনের ওভারে ২ চার ও ২ ছক্কায় নিলেন ২২ রান। ৬ বলে ১২ রানের সমীকরণটাকে সৌম্য সরকার বানালেন ১ বলে ৫ রানের। কার্তিক ছক্কাই মেরে দিলেন।

আরেকবার ‘ইশ’

এশিয়া কাপ, দুবাই, ২০১৮
বাংলাদেশ: ৪৮.৩ ওভারে ২২২
ভারত: ৫০ ওভারে ২২৩ /৭
ফল: ভারত ৩ উইকেটে জয়ী।

লিটন দাসের অসাধারণ এক সেঞ্চুরির পরও বাংলাদেশ অলআউট ২২২ রানে। সামান্য এই পুঁজি নিয়েই অসামান্য লড়াই করেছেন মাশরাফিরা। ৪৯ তম ওভারে মোস্তাফিজ মাত্র ৩ রান দিলে শেষ ওভারে ৬ রান দরকার পরে ভারতের। মাহমুদউল্লাহ ম্যাচটিকে নিয়ে যান শেষ বল পর্যন্ত।