Thank you for trying Sticky AMP!!

৬০৬ রানে থামলেন সাকিব

আশা জাগিয়ে আবারও হতাশ করলেন সৌম্য। ছবি: রয়টার্স


সমীকরণ ছিল সেমিফাইনালে ওঠার ‘অসম্ভব’ সমীকরণের পিছু ছুটতে হলে পাকিস্তানকে আগে ব্যাট করতে হবে। টস হেরে পরে ব্যাটিং পেলে ওই অসম্ভব সমীকরণ থেকেও পাকিস্তান ছিটকে পড়বে মাঠে নামার আগেই। ভাগ্য কিন্তু মাঠের নামার আগেই সরফরাজ আহমেদের সহায়। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। 

৪০০-৫০০-৬০০ রানের লক্ষ্যে নামা পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। মেহেদী হাসান মিরাজের সৃষ্ট চাপে থমকে গিয়েছিল পাকিস্তান। সে চাপে ৩১ বলে মাত্র ১৩ রান করে সাইফউদ্দিনের বলে ফিরে গেছেন ফখর। ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারানো পাকিস্তান এরপর ভালো গতিতেই রান তুলছে। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৩১৫ রান করেছে পাকিস্তান। ৯৬ রান করেছেন বাবর, ১০০ রান করেছেন ইমাম–উল–হক।

বোল্ড হয়ে গেলেন তামিম। ছবি: প্রথম আলো

তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জীবন পেয়েছিল সৌম্য। দ্বিতীয় ওভারে পাওয়া সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। মাত্র ২২ রান করে আউট হয়ে গেছেন ষষ্ঠ ওভারে। দলের রান তখন ২৬। তামিমও সৌম্যের পথ ধরেছেন একটু পরে। ১১তম ওভারে ২১ বলে ৮ রান করে ফিরেছেন তামিম। ১৬ রান করে ফিরেছেন মুশফিক। নিজের পঞ্চম ফিফটি পেয়ে গেছেন সাকিব। ৮ ইনিংসের বাকি দুটিতে সেঞ্চুরি করেছেন সাকিব। এক বিশ্বকাপে এর আগে সাত ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান শুধু শচীন টেন্ডুলকারের ছিল। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ১৬২। 

পাকিস্তানের এমন অবস্থানের পেছনে বাংলাদেশের অবদানও আছে। বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার কোনো সম্ভাবনা নেই, এ ম্যাচ থেকে পাওয়ারও তেমন কিছু নেই বাংলাদেশের। এ কারণেই হয়তো শরীরী ভাষায় এর প্রভাব পড়ছে। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে বেশ কয়েকবার বাজে দৃষ্টান্ত রেখেছেন ফিল্ডাররা। ২৬তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছিলেন বাবর আজম। ৫৭ রানে থাকা আজমকে নতুন জীবন দিয়েছেন মোসাদ্দেক। পরের ওভার করতে এসেছিলেন ওই মোসাদ্দেক। এবার তাঁর বলে ক্যাচ ফেললেন মুশফিকুর রহিম। বাবরের রান তখন ৬৫। পরে সাইফউদ্দিনের বলে এলবিডব্লু  হয়েছেন বাবর। 

হোম অব ক্রিকেট লর্ডসে শেষ হাসি হাসতে পারবে বাংলাদেশ? ছবি: শামসুল হক

এমনিতে অলৌকিক কিছু না ঘটলে পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। একটা উদাহরণেই তা বুঝিয়ে দেওয়া যায়। ধরুন, আগে ব্যাটিং করে ৪০০ রান তুলল পাকিস্তান। সে ক্ষেত্রে সরফরাজ আহমেদের দলকে জিততে হবে ন্যূনতম ৩১৬ রানের ব্যবধানে। যেখানে ওয়ানডে ইতিহাসেই ২৯০ রানের বেশি ব্যবধানে জয়ের নজির নেই।

দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। চোট থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। রুবেল হোসেন ও সাব্বির রহমান খেলছেন না।

বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোস্তাফিজুর রহমান।

[তাৎক্ষণিক আপডেট করা হচ্ছে। তাই শিরোনাম ও প্রতিবেদনে অমিল থাকতে পারে]