Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশই প্রথম উপহার দিয়েছিল এতগুলো 'সোনার হাঁস'

আল আমিনের শেষ ওভারে রেকর্ডটি দেখেছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। প্রথম আলো ফাইল ছবি

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত সপ্তাহে লাসিথ মালিঙ্গার ডাবল হ্যাটট্রিক এত দ্রুত কারও ভোলার কথা না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয় ডাবল হ্যাটট্রিক গড়ার পথে হামিশ রাদারফোর্ড, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও রস টেলরকে প্রথম বলেই আউট করেছিলেন এ লঙ্কান পেসার। তিন ব্যাটসম্যান ‘গোল্ডেন ডাক’ (সোনার হাঁস!) মেরে মাঠ ছেড়েছিলেন। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে একই ভাগ্য বরণ করে নিতে হয়েছিল স্কট কুগলেইনকেও। অর্থাৎ এক ইনিংসে চারটি গোল্ডেন ডাক—আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে কখনো এমন কিছু দেখা গেছে?

জবাব খুঁজে বের করেছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এমন ঘটনা ঘটল দ্বিতীয়বারের মতো। প্রথমবারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে। ঢাকার সে ম্যাচটা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা ভুলে যেতে চাইবেন। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭১ রান তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাড়া করতে নেমে ১০০ রানও তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। ৯৮ রানে অলআউট হয়ে ৭৩ রানের হার মেনে নিতে হয় স্বাগতিকদের। কিন্তু সে ম্যাচেও অনন্য এক অর্জন করেছিল বাংলাদেশ।

অনাকাঙ্ক্ষিত এ রেকর্ডের শুরু করেছিলেন লেন্ডল সিমন্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে ১৩তম ওভারে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে গোল্ডেন ডাক মারেন এই ব্যাটসম্যান। সিমন্সকে সামনে এগিয়ে আসতে দেখে চালাকি করে ওয়াইড ডেলিভারি ছাড়েন সাকিব আল হাসান। এ সুযোগে স্টাম্পিং করেন মুশফিকুর রহিম। মজাটা হলো, সিমন্স প্রথম বলে ডাক মারলেও তাঁর নামের পাশে কিন্তু কোনো বলসংখ্যা যোগ হয়নি। কারণ ওটা ওয়াইড ছিল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে শেষ ওভারটি করেছিলেন পেসার আল আমিন। সে ওভারে চার উইকেট পড়েছিল ক্যারিবীয়দের। এর মধ্যে শেষ তিনটি উইকেটেই রেকর্ডটি হয়। ২২ বল খেলা স্যামুয়েলসকে ফেরান প্রথম বলে। দ্বিতীয় বলে শিকার করেন আন্দ্রে রাসেলকে। চতুর্থ বলে ফিরে যান ডোয়াইন ব্রাভো আর শেষ বলে রান আউট হন দিনেশ রামদিন। রাসেল, ব্রাভো ও রামদিন—তিনজনই গোল্ডেন ডাক মেরেছিলেন। সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চারজন ব্যাটসম্যান সেদিন গোল্ডেন ডাক মারেন আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটাই ছিল প্রথম ঘটনা।