Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশকে যে কটি জায়গায় ভাবতে হচ্ছে

>কন্ডিশনিং ক্যাম্প ও স্কিল ট্রেনিং আপাতত শেষ। পরশু শুরু নিজেদের মধ্যে দুদিনের ম্যাচ। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট। আফগানদের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে কিছু বিষয় নিয়ে ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টকে

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ও ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ সামনে রেখে যে কন্ডিশনিং ক্যাম্প ও স্কিল ট্রেনিং শুরু হয়েছিল, সেটি শেষ হয়েছে কাল। আজ বিশ্রাম। কাল ও পরশু নিজেরা ভাগ হয়ে দুদিনের একটি ম্যাচ খেলবেন প্রাথমিক দলে থাকা খেলোয়াড়েরা। ফিটনেস ও দক্ষতার অনুশীলন প্রায় শেষ। সময় হয়ে যাচ্ছে দল ঘোষণার। সময় হয়ে যাচ্ছে লড়াইয়ের ছক কষার। রণকৌশল সাজানোর আগে কিছু বিষয় ভাবাচ্ছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টকে।

ওপেনিং জুটি
ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল নেই, তাহলে ওপেনিং জুটিটা কেমন হবে? গত বছর দেশের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে চমক হিসেবে এসেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম। এবারও সাদমান যদি থাকেন, তাঁর সঙ্গী হবেন কে? ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে সাদমানের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ছিলেন সৌম্য সরকার। এবার ওপেনিং জুটিটা কেমন হবে, সেটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটু সময় নিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার, ‘এখনো সে (সাদমান) তরুণ। মাত্র শুরু করেছে এত অভিজ্ঞ নয়, যেহেতু তামিম সঙ্গে ছিল ওর ওপর চাপ এতটা ছিল না। ওকে দিয়ে একেবারে নতুন করে শুরু করব কি না, সে চিন্তা আছে। আবার হয়তো পুরোনো কাউকে নিলাম যেন একজন তরুণের সঙ্গে অভিজ্ঞ কেউ থাকল। এসব বিষয় নিয়েই আমরা চিন্তা করছি।’

পেস বোলিং কোচের সঙ্গে কাজ করছেন তাসকিন। ছবি: প্রথম আলো

পেস আক্রমণ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে স্পিন-সহায়ক উইকেটে খেললে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা আছে। টিম ম্যানেজমেন্ট যে এ পথে হাঁটতে চায় না, কদিন আগে সে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আকরাম খান। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান জানিয়েছিলেন, তাঁরা ট্রু উইকেট কিংবা ঘাসের উইকেটে খেলতেই বেশি আগ্রহী। পছন্দের উইকেট কাজে লাগাতে পেস আক্রমণটা হতে হবে ধারালো। কে কে থাকছেন পেস আক্রমণে, সেটি নিয়েও ভাবতে হচ্ছে নির্বাচকদের। লম্বা স্পেলে ভালো বোলিং করার সামর্থ্য যাচাই করছেন নতুন পেস বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট। বাংলাদেশ সবশেষ টেস্ট সিরিজ খেলেছে নিউজিল্যান্ডে। খালেদ আহমেদ-ইবাদত হোসেনদের নিয়ে গড়া একেবারে আনকোরা এক পেস আক্রমণ সামলেছে কিউই ব্যাটসম্যানদের। নখদন্তহীন এই পেস আক্রমণ যে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের গায়ে আঁচড়টাও ফেলতে পারেনি, সেটি না বললেও চলছে। এবার প্রাথমিক দলে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেন ও আবু জায়েদ। এঁদের তিন এমনকি চারজন হয়তো জায়গা পাবেন মূল স্কোয়াডে। দেশের মাঠে বাংলাদেশের পেস আক্রমণটা তাই নিউজিল্যান্ড সফরের মতো একেবারে অনভিজ্ঞ হওয়ার কথা নয়।

স্পিন আক্রমণেও নেতৃত্ব দেবেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো

স্পিনার নিয়ে মধুর সমস্যা
গত তিন বছর দেশের মাঠে টেস্টে নিয়মিত বানানো হয়েছে ঘূর্ণি উইকেট। উইকেটের সহায়তা পেয়ে বাংলাদেশের স্পিনাররাও আলো ছড়িয়েছেন নিয়মিত। এবার যদি প্রতিপক্ষের শক্তি চিন্তা করে স্পিন সহায়ক উইকেট না হয় তবে মধুর সমস্যায় পড়তে হবে নির্বাচকদের। বাঁহাতি স্পিনে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আছেন তাইজুল ইসলাম। অফ স্পিনে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে নাঈম হাসান। খণ্ডকালীন বোলার হিসেবে মাহমুদউল্লাহও যে হাত ঘোরাবেন, গত কদিনের অনুশীলনে সেটি পরিষ্কার। স্পিন সহায়ক উইকেট না হলে একাদশে নিশ্চয়ই চারজন স্পিনার থাকবে না। এমনকি তিনজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার থাকবেন কি না, সেটি নিয়েও সংশয় থাকছে।

ফিল্ডিং
বাংলাদেশের ফিল্ডিং নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরেও বাজে ফিল্ডিংয়ের প্রদর্শনী অব্যাহত থেকেছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বিরক্তি নিয়েই বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ফিল্ডাররা বেসিকই জানে না!’ এই বেসিক নিয়ে টেস্টে ভালো ফিল্ডিং করা নিশ্চয়ই আরও কঠিন হবে। বিশেষ করে ক্লোজ-ইন ফিল্ডিং আর স্লিপ ফিল্ডিং নিয়ে অনেক চিন্তা। কদিন আগে ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক বলছিলেন, ‘এই পজিশনে যে ভালো সেই যাবে স্লিপে।’ টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ১৯ বছরেও কোনো স্লিপ বিশেষজ্ঞ ফিল্ডার পায়নি বাংলাদেশ। তাহলে কীভাবে বোঝা যাবে, এই ফিল্ডার স্লিপে ভালো করবেন?