Thank you for trying Sticky AMP!!

মিচেল মার্শই কাল লড়েছেন যা একটু

বাংলাদেশের স্পিনকে ‘খুব কঠিন’ বললেন মার্শ

১৯৯৪ সালের পর এই প্রথম অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের কোনো খেলা অস্ট্রেলিয়ান টিভি চ্যানেলে দেখানো হয়নি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়াতে এই ‘ব্ল্যাকআউট’ (অস্ট্রেলীয় পত্র–পত্রিকাগুলো খেলা সম্প্রচারিত না হওয়াকে এ নাম দিয়েছে) সিরিজের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের কাছে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ১৩১ রান তাড়া করতে নেমে ১০৮ রানে গুটিয়ে গিয়ে ২৩ রানের হারকে অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যম, ‘তলানিতে ঠেকা’ পারফম্যান্সই বলছে। আজ দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টির আগে অস্ট্রেলীয় দল চায় সেই অপবাদ দূর করতে।

কাল অস্ট্রেলিয়ার ‘তলানিতে ঠেকা’ পারফরম্যান্সের মধ্যেও উজ্জ্বল ছিলেন মিচেল মার্শ। ৪৫ রান করে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে একাই লড়ে যাওয়া মার্শ অবশ্য বলছেন, এই ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারটা মোটেও সহজ নয়। অস্ট্রেলিয়ার দ্য অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অবশ্যই আমরা ঢাকার কন্ডিশনে সবাই স্পিন বোলিং ভালো খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এটা অস্বীকার করা যাবে না যে এমন কন্ডিশনে স্পিন খেলাটা খুবই কঠিন।’

স্পিনের সামনে নিজেদের ব্যর্থতা লুকানননি মিচেল মার্শ

মার্শ প্রথম ম্যাচে হারের জন্য দায়ী করেছেন ভালো কোনো জুটি গড়ে না ওঠাকে। কাল সাকিব–নাসুমরা বোলিংয়ে যে সেটিই নিশ্চিত করেছেন খুব ভালোভাবে, ‘১৩০ (১৩১) রান তাড়া করতে নেমে একটা জুটিই জয়ের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আমরা সেটি করতে পারিনি। সেখানেই আমরা হেরে গেছি।’

বাংলাদেশে এসে অস্ট্রেলিয়ার বড় আতঙ্কের নাম যে ‘স্পিন’, সেটাও উঠে এসেছে মার্শের কথায়, ‘আমরা যারা বাংলাদেশে আছি, আমরা জানি যে এখানে আমাদের অনেক স্পিন খেলতে হবে। এটা বড় চ্যালেঞ্জ এবং আমরা সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি।’

আজ স্পিনটা ভালো খেলতে চাইবে অস্ট্রেলিয়া

হতাশার পিঠে আশা থাকে। মার্শের ভাবনাটা তেমনই, ‘আমাদের দলে ভালো স্পিন খেলতে পারে, এমন বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আছে। আশা করছি, আগামী ম্যাচগুলোয় তারা নিজেদের দক্ষতার প্রয়োগ ঘটাবে।’

বাংলাদেশে আসার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও স্পিনের চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। ক্যারিবিয়ানে অবশ্য টি–টোয়েন্টি সিরিজটা অস্ট্রেলিয়া হেরেছে ৪–১ ব্যবধানে। মার্শ সেখানেও ছিলেন পারফরমার। ৫১, ৫৪ আর ৭৫ রানের তিনটি ইনিংস খেলেছেন তিনি। দলের বাকিরা যখন স্পিনের বিপক্ষে তল খুঁজে পাচ্ছে না, সেখানে তাঁর এই পারফরম্যান্সের কারণটা বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন অ্যাশটন অ্যাগার আর অ্যাডাম জাম্পা তাঁকে এ ব্যাপারে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন, ‘আমি অ্যাশটন অ্যাগার আর অ্যাডাম জাম্পার সঙ্গে কথা বলেছি। ওরা আমাকে নেটে বোলিং করেছে। আমি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি, আমার দুর্বলতা কোথায়।’

কাল ম্যাচ হারার পর গোটা অস্ট্রেলীয় দলই হয়তো রাতে অ্যাগার আর জাম্পার সময় চেয়েছে—এটা বলাই যায়।