Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশ দেখা পেল যে 'প্রথমে'র

আজও দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন লিটন দাস। ছবি: প্রথম আলো
>দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। শক্তিতে তারা স্বাগতিকদের তুলনায় পিছিয়ে। দ্বিপক্ষীয় টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাই প্রত্যাশিত ফলের দেখাই পেল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই প্রথমবারের মতো কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে তিন সংস্করণেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।

মিরপুরে আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল। ১১৯ রান তাড়া করতে নেমে ২৫ বল হাতে রেখে জিতেছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটন দাস যথারীতি জয়ের কারিগর। ৪৫ বলে ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন। দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল বাংলাদেশ। এর আগে একমাত্র টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হয় জিম্বাবুয়ে। অর্থাৎ এবার বাংলাদেশ সফরে এসে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে জিম্বাবুয়েকে।

তামিম ইকবাল বিশ্রামে যাওয়ায় তাঁর জায়গায় ওপেন করেছেন মোহাম্মদ নাঈম। ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। লিটনকে ১০.৪ ওভার পর্যন্ত সঙ্গ দিয়ে ফিরেছেন কমজোরি পুল শট খেলার খেসারত গুনে। ৩৩ রান করা নাঈম ক্রিস্টোফার পফুর বলে ধরা পড়েন ডিপ মিডউইকেটে। তার আগে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি (৭৭ রান)। অন্য প্রান্তে লিটন ছিলেন নিজের সহজাত ছন্দে। তবে আজ আড়মোড়া ভেঙেছেন একটু দেরিতে।

তৃতীয় ওভারে কভার অঞ্চল দিয়ে প্রথম চার মারেন লিটন। আজও খেলেছেন উইকেটের চারপাশেই। কাট, পুল, ড্রাইভ, গ্লান্স—সবকিছুতেই ছিল আভিজাত্যের ছোঁয়া। ৭ চারে ফিফটি তুলে নেন ৩৫ বলে। সৌম্য যখন উইকেটে এলেন জয়ের জন্য ৫৬ বলে ৪৩ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। এ পথটুকু আরামেই পাড়ি দিয়েছেন দুজন। ৩১ বলের জুটিতে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তাঁরা। ১৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য সরকার।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি উইকেটসংখ্যায় যুগ্মভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়। এর আগে ২০১৪ সালে মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও ৯ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে ৭৩ বল হাতে রেখে জিতেছিল দল। বলের হিসেবে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয় বাংলাদেশের।