Thank you for trying Sticky AMP!!

বিধ্বংসী রাসেলের রহস্য তাহলে এই!

কাল ইডেনে উঠেছিল রাসেল-ঝড়! ছবি : এএফপি
টি-টোয়েন্টির ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোতে আন্দ্রে রাসলকে নিয়ে কেন টানাটানি পড়ে যায়, তা কালকে আবারও দেখালেন তিনি। ১৯ বলে ৪৯ রান করে এক রকম হারের মুখ থেকে ফিরিয়ে অনবদ্য এক জয় এনে দিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। ম্যাচ শেষে জানালেন তাঁর এই ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের রহস্য।


১৮তম ওভার যখন শুরু হলো, রাসেলের রান তখন ৯ বলে ৭। শেষ ৩ ওভারে ৫৩ রান দরকার। প্রথম ৯ বলে চুপচাপ থাকা সেই রাসেলই পরের ১০ বলে তুললেন ৪২ রান! কলকাতাও হাসতে হাসতে ম্যাচটা জিতে নিল ২ বল বাকি থাকতেই। তবে রাসেলের এমন ব্যাটিং তো এই প্রথম নয়। মারকাটারি ব্যাটিং আর কার্যকরী মিডিয়াম পেসের জন্য বিখ্যাত রাসেলকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে কাড়াকাড়ি লেগে যায় তো এ কারণেই! কিন্তু রাসেলের এই দুরন্ত ব্যাটিংয়ের রহস্য কী? জানালেন তিনি কালকে।

ম্যাচ শেষে সতীর্থ রবিন উথাপ্পাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাসেল জানিয়েছেন, তাঁর গায়ে এই সিংহের মতো শক্তি এমনি এমনি আসেনি। যখনই রাসেল বিরক্ত হন, তখনই উনি বুকডন (পুশ আপ) দেওয়া শুরু করেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরেই এই কাজটা করছি আমি। হোটেলে থাকতে থাকতে আমি যখনই বিরক্ত হয়ে যাই, তখনই ৩০০টা করে বুকডন দিই আমি!’ বলেই উথাপ্পাকে নিজের পেশি ফুলিয়ে দেখিয়েছেন রাসেল। সতীর্থের পেশি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন উথাপ্পাও!

দুর্দান্ত এক জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে কলকাতা, ফলে রাসেল বেশ সন্তুষ্ট, ‘যেভাবে আমরা মৌসুম শুরু করলাম, আমি বেশ সন্তুষ্ট।’

এদিকে কলকাতার মালিক শাহরুখ খান টুইটারে জানিয়েছেন, দলকে জেতানোর পর খুশিতে প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলেন রাসেল! টুইটারে শাহরুখ লিখেছেন, ‘রাসেল আমাকে বলল, ম্যাচ জেতানোর পর কলকাতার দর্শকেরা যেভাবে ওর নামে স্লোগান দিচ্ছিল, আবেগে আরেকটু হলে কেঁদেই দিচ্ছিল সে। তারপর আমাকে সে বলল, “না, আমি কাঁদব না। বড় ছেলেরা কখনো সবার সামনে কাঁদে না!”’