Thank you for trying Sticky AMP!!

বিপিএলে আবশ্যিক থেকে ঐচ্ছিক হয়ে গেছেন লেগ স্পিনাররা

একমাত্র আমিনুল ইসলামকেই দেখা গেছে নিয়মিত বল করতে। ছবি: প্রথম আলো
>বিসিবি বলেছিল এই বিপিএলে লেগ স্পিনারদের নিয়মিত একাদশে খেলাতে হবে, বোলিং করাতে হবে। নিয়মটা কি ঠিকঠাক মানা হচ্ছে?

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে যে দুটি নিয়ম বাধ্যতামূলক করার কথা বলেছিল বিসিবি, তার একটি হচ্ছে লেগ স্পিনার খেলাতেই হবে। এবং তাঁকে ৪ ওভার বোলিং করাতেই হবে। পরে ‘বাধ্যতামূলক’ শব্দটা হয়েছে ‘গাইডলাইন’। সেই গাইডলাইনও কি ঠিকঠাক মানা হচ্ছে?

লেগ স্পিনার খেলানোর নিয়ম না মানায় কদিন আগে জাতীয় লিগে দুজন কোচ চাকরি হারিয়েছিলেন। অথচ বিপিএলে সে কড়াকড়ি উঠে গেছে বলেই মনে হচ্ছে। খুলনা নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাদের লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলামকে ৪ ওভার বোলিং করিয়েছে। রাজশাহী অবশ্য এক সঙ্গে দুজন লেগ স্পিনার নিয়ে খেলছে। তরুণ মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি মাত্র ১ ওভার করার সুযোগ পেয়েছে। মিনহাজুলের চেয়ে রাজশাহী বেশি আস্থা রেখেছে অভিজ্ঞ অলক কাপালির ওপর। অলক আস্থার প্রতিদান দিয়েছেনও। আজ সিলেটের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন, ১৭ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। দুই ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে আছেন সবার ওপরে। অলকের দিনে মিনহাজুলকে আজ বোলিংয়েই আনেনি রাজশাহী।

সিলেটের লঙ্কান লেগ স্পিনার জীবন মেন্ডিস ২ ম্যাচে বোলিং করেছেন ২ ওভার। ছিলেন উইকেটশূন্য। চট্টগ্রাম তো তাদের জিম্বাবুয়ের লেগ স্পিনার রায়ান বার্ল ১ ওভারের বেশি ব্যবহারই করেনি। ঢাকার অভিজ্ঞ শহীদ আফ্রিদি কাল ৩ ওভার বোলিং করে ছিলেন উইকেটশূন্য।

লেগ স্পিনারদের মধ্যে একমাত্র অলকই যা ভালো বোলিং করেছেন। বাকিদের ওপর টিম ম্যানেজমেন্ট যে খুব একটা আস্থা রাখতে পারছে না, সেটি পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। বিসিবির ‘গাইডলাইন’টা তাহলে শুধু কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে?

সিলেটের বিপক্ষে ভালো বোলিং করা অলক একটি বাস্তবতা তুলে ধরলেন, ‘যার যেভাবে দরকার, সেভাবে ব্যবহার করছে। অনেক দলে ভালো ভালো অফ স্পিনার আছে। জাতীয় দলের ক্রিকেটার আছে অনেকেই। ওদের তো খেলাতে হবে। কিংবা ভালো করছে ওরা। অনেক সময় এই সুযোগ আসে না। আমাদের দলে বাঁহাতি স্পিনার, অফ স্পিনার, লেগ স্পিনার সবই আছে। একেকটা দল একেকভাবে পরিকল্পনা করে। আমাদের দলের আরেক লেগ স্পিনার আফ্রিদিকে (মিনহাজুল) বোলিং করতেই হয়নি।’