Thank you for trying Sticky AMP!!

বিপিএলে ১৪০ কিলোমিটারে বল করতে হবে বিদেশি পেসারদের

এবারের বিপিএল রাঙাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। প্রথম আলো ফাইল ছবি
এবার বিপিএলে বেশ কিছু নতুনত্ব দেখা যাবে। কিছু বিষয় বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছে বিসিবি। আয়োজকেরা বলছেন, প্রায় ৪০০ বিদেশি ক্রিকেটার বিপিএল খেলতে আগ্রহী।


বিসিবির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের আগেই ঢাকা ডায়নামাইটস ভিড়িয়েছিল এউইন মরগানকে। শেন ওয়াটনসনকে খুলনা টাইটানস। রাজশাহী কিংস নিয়েছিল জেপি ডুমিনিকে। এবার বিপিএল যেহেতু ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক হবে না, এই তারকা ক্রিকেটারদের উল্লিখিত দলগুলোয় তাই খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

মরগান-ওয়াটসনরা নতুন নিয়মে হওয়া বিপিএলে শেষমেশ আসবেন কিনা, এখনই বলার উপায় নেই। তবে আয়োজকেরা বলছেন, প্রায় ৪০০ বিদেশি ক্রিকেটার বিপিএল খেলতে আগ্রহী। বিসিবির পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য মাহবুব আনাম আজ বিকেলে সাংবাদিকদের বললেন, ‘ড্রাফটের আগেই আমরা বিদেশি খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্ত করছি। এর মধ্যে চার শর কাছাকাছি খেলোয়াড় নিবন্ধন করেছে। এর বাইরেও যদি বিদেশি খেলোয়াড় নিতে হয় দলের পৃষ্ঠপোষকেরা নিজ খরচে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।’

তা-ই নয়, বিদেশি যে পেসাররা খেলবেন তাদের ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করাও বাধ্যতামূলক করতে চায় বিসিবি। মাহবুব আনাম বললেন, ‘ যে বিদেশি ফাস্ট বোলাররা অন্তত ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারে তাদের যেন দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেহেতু আমরা বিসিবির টাকা ক্রিকেটের উন্নয়নে ব্যয় করতে চাই, এ কারণে এসব বাধ্যবাধকতা থাকবে।’

মাহবুব দাবি করলেন, শুধু বিদেশি খেলোয়াড়ই নন; বিপিএলে কাজ করতে চান অনেক নামীদামি বিদেশি কোচও, ‘আমরা প্রতিটা দলে আন্তর্জাতিক কোচ দেব। যে যে কোচ বিপিএলে অন্তর্ভুক্ত হতে আগ্রহী, তারা নাম পাঠিয়েছে। আমরা একই সঙ্গে বিদেশি ফিজিও, ট্রেনার এবং খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছি।’

প্রধান কোচদের সবাই যদি বিদেশি হন, স্থানীয় কোচরা তাহলে কী করবেন? বিপিএলের গত চার পর্বের তিনটিই কিন্তু জিতিয়েছেন স্থানীয় কোচেরা। মোহাম্মদ সালাউদ্দীন কুমিল্লাকে দুবার (২০১৫ ও ২০১৮) শিরোপা জিতিয়েছেন। ২০১৬ বিপিএলে ঢাকা জিতেছে খালেদ মাহমুদের তত্ত্বাবধানে। স্থানীয় কোচদের কেউ এবার প্রধান কোচ হবেন কি না জানা না গেলেও বিসিবি একজন করে ‘টিম ডিরেক্টর’ ঠিক করে দেবে। দলের পরিচালক হতে পারেন কোচ, সংগঠক কিংবা সাবেক ক্রিকেটারদের কেউ।

বাংলাদেশ দলে লেগ স্পিনারের হাহাকার দূর করতে এবার প্রতিটি একাদশে একজন রিস্ট স্পিনার খেলতে বাধ্য করা হবে বলে জানালেন মাহবুব, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিরা যখন আসে, তখন তাদের লক্ষ্যই থাকে জয়। এতে আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা বেশ কিছু জায়গায় পিছিয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট থেকে পরামর্শ এসেছে যে আমাদের লেগ স্পিনার দরকার। (বিপিএলের) প্রতিটি দলে একজন লেগ স্পিনার খেলাতেই হবে এবং তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ৪ ওভার বোলিং করাতে হবে।’

বিপিএলের উইকেট নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায় প্রতিবারই। এবার উইকেট টি-টোয়েন্টি উপযোগী হবে তো? মাহবুব আনাম আশ্বাস দিচ্ছেন, খাঁটি ২০ ওভারের ম্যাচ-বান্ধব উইকেটই হবে এবার।