Thank you for trying Sticky AMP!!

বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষকে যেভাবে চমকে দেবে অস্ট্রেলিয়া

নিজের ফাস্ট বোলারদের নিয়ে ভিন্ন পরিকল্পনা আঁটছেন ফিঞ্চ। ফাইল ছবি

মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের মতো দুর্দান্ত গতির দুজন ফাস্ট বোলার আছে অস্ট্রেলিয়ার। ইংলিশ কন্ডিশনে চকচকে নতুন বলটা এমন দুজনের হাতে তুলে দিতে চাইবে যেকোনো অধিনায়ক। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক সে লোচ সামলাতে চাইছেন। বিশ্বকাপ উপলক্ষে ভিন্ন পরিকল্পনা করছেন অ্যারন ফিঞ্চ।

২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে সবাই। ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান যেমন খেলছে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। দ্বিতীয় ম্যাচে দুই দল মিলে রীতিমতো রান উৎসব করেছে। ৭৩৪ রান এসেছে সাউদাম্পটনের সে ম্যাচে। উইকেটে ধরে রেখে শেষ দিকে ঝড় তোলার পরিকল্পনা ছিল ইংল্যান্ডের। ৫০ বলে সেঞ্চুরি করে সে দায়িত্বটা সফলভাবে পালন করেছেন জস বাটলার।

ইনিংসের মাঝ পথে উইকেট তুলে নেওয়াটা তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অস্ট্রেলিয়া দল তাই সে চিন্তা মাথায় নিয়ে নিজেদের সেরা দুই অস্ত্রকে মাঝের ওভারে ব্যবহার করতে চাইছে। আর সেটা করতে চাইলে নতুন বলে স্টার্ক ও কামিন্সকে এক সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে না। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ তাই স্টার্ক বা কামিন্সকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন, ‘ওয়ানডেতে গত কয়েক বছরের ধারা বলছে, মাঝের ওভারগুলোতে যারা বেশি উইকেট পেয়েছে তারাই সফল হয়েছে। এটা এমন একটি ব্যাপার যেটা আমরা লক্ষ্য বানিয়েছি এবং নিখুঁত করার চেষ্টা করছি। মাঝের ওভারগুলোতে স্টার্ক ও কামিন্সকে ব্যবহার করা হবে কি না সেটা নির্দিষ্ট দিনেই বোঝা যাবে। কেউ যদি ভালো শুরু করে তখন তো নিজেদের সেরা অস্ত্র বের করতেই হবে। সে সঙ্গে পাওয়ার প্লেতে উইকেট পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।’

বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি সেরেছে অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ড একাদশকে ডেকে এনে তিনটি ওয়ানডে খেলে নিয়েছে তারা। যে দলে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলের পাঁচজন ক্রিকেটারও ছিলেন। সেখানেই অস্ট্রেলিয়ার নতুন পরিকল্পনা হাতে কলমে ব্যবহার করে দেখেছেন ফিঞ্চ। নতুন বলে স্টার্কের সঙ্গে জ্যাসন বেহরেনডর্ফকে ব্যবহার করেছে অস্ট্রেলিয়া। ফিঞ্চের কাজটা কঠিন করে দিয়েছে ঝাই রিচার্ডসনের চোট। স্টার্ক -কামিন্সের মতো না হলেও ১৪০ কিলোমিটারের ওপর বল করতে পারেন ঝাই। কিন্তু বিশ্বকাপে তাঁকে না পাওয়ায় নতুন বলের দায়িত্ব বেহরেনডর্ফ, নাথান কোল্টার-নাইল ও কেন রিচার্ডসনের যেকোনো একজনকে দেওয়া হবে।

নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে অবশ্য পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি এই তিন পেসার। স্টার্ক ও কামিন্স যেখানে ১১৭ রানে ১০ উইকেট পেয়েছেন, সেখানে এই তিন পেসার মিলে ২২৩ রানে পেয়েছেন মাত্র ৬ উইকেট। এ কারণেই নতুন বল কার হাতে তুলে দেওয়া হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন না কামিন্স, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহেই এটা বোঝা যাবে। এখনো আমরা এ নিয়ে বসিনি, পরিকল্পনাও করিনি। এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর খোঁজা বাকি তবে আমরা বেশ ভালো অবস্থায় আছি সেটা করার জন্য।’

ফিঞ্চ একটি ব্যাপারে স্বস্তি পাচ্ছেন। মাঝের ওভারগুলোতে অন্তত স্পিন আক্রমণ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। উইকেট তুলে নেওয়ার ক্ষমতার জন্য এবার প্রতিটি দলই লেগ স্পিনারে ভরসা রেখেছে। বাংলাদেশ দল ছাড়া প্রতিটি দলেই আছে অন্তত একজন প্রতিষ্ঠিত লেগ স্পিনার। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা তো গত কিছুদিন ধরে আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে পারফরম্যান্স লাথান লায়নের চেয়ে এগিয়ে দিয়েছে তাঁকে, ‘ভারত ও আরব আমিরাতে জাম্পার পারফরম্যান্স অসাধারণ ছিল। সেখানে যে উইকেট ছিল, সেখানে বল খুব একটা স্পিন করছিল না। এমন ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে ভালো করছে যারা স্পিন খেলায় বিশ্ব সেরা। ব্রিস্টলের (আফগানিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচের ভেন্যু) ব্যাপারে বলা হয় সেখানে স্পিন বেশি হয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের সর্বশেষ ম্যাচগুলোতে তেমনটা দেখা যায়নি। আমাদের তাই অপেক্ষায় থাকতে হবে এবং দেখতে হবে উইকেট কেমন আচরণ করছে।’