Thank you for trying Sticky AMP!!

বিশ্বকাপ এলেই যে অভিশাপে পোড়ে পাকিস্তান

পাকিস্তানের সেই অভিশাপের ইতিহাসের শুরু ১৯৯২ থেকে। ফাইল ছবি
>বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কখনোই ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। এবার এই ইতিহাসটা পাল্টে দিতে পারবে পাকিস্তান?

ভারত-পাকিস্তান লড়াই মানেই বাড়তি উত্তেজনা। মাঠের লড়াই ছাপিয়ে এটি দুই দেশের মর্যাদার বিষয়। সে কারণে এ ম্যাচে খেলার চেয়ে খেলার বাইরের ব্যাপার-স্যাপারগুলোই বেশি মাথাচাড়া দেয়। কিন্তু অনেক বছর ধরেই ক্রিকেট মাঠে ভারত-পাকিস্তান লড়াই বড্ড একপেশে। বিশ্বকাপে তো এটি পুরোপুরিই ভারতের। ১৯৯২ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে ছয়টি ম্যাচের একটিতেও জেতেনি পাকিস্তান। তবে এবারের বিশ্বকাপে এ ইতিহাসটা পাল্টাবে বলেই মনে করেন পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক।

ইনজামাম নিজেই এই ইতিহাসের অংশ। তাঁর ক্যারিয়ারের সঙ্গে মিশে আছে এটি। ১৯৯২ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলেছিলেন। সিডনির সে ম্যাচে পাকিস্তান ভারতের ২১৬ রানও তাড়া করতে পারেননি। এরপর ১৯৯৬ বিশ্বকাপের সেই কোয়ার্টার ফাইনাল, ইংল্যান্ডে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সুপার সিক্স ম্যাচ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০৩ বিশ্বকাপে পরপর তিন হার।

মাঝখানে ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান দুই দলই প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়ায় সেবার তাদের দেখা হয়নি। এরপর ২০১১ আর ২০১৫—সেই হারেরই গল্প। ২০১১ সালেরটা আবার সেমিফাইনালে! ইনজামাম নিজে ছিলেন প্রথম চার লড়াইয়ে। এত ম্যাচ জিতিয়েছেন।

কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বকাপে একবার ভারতকে হারাতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই শেষ হয়েছে তার ক্রিকেট জীবন। এটি তো সারা জীবন তাড়া করে বেড়ানোর মতোই একটা বিষয়। ইনজামাম তাই এবার ভিন্ন ভূমিকায় অভিশাপটা কাটাতে চান। তিনি আশাবাদীও, ‘আমি আশাবাদী বিশ্বকাপে আমরা ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। আমাদের এখানে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ খুব গুরুত্ব নিয়ে দেখা হয়। কেউ কেউ তো বলে, অন্য সব ম্যাচ হারুক কিন্তু ভারতের বিপক্ষে জিতলেই আমরা খুশি!’

কিন্তু ইনজামামের আশা পূর্ণ হবে কিনা, সেটি নিয়ে কিন্তু সন্দেহ থেকেই যায়। এর প্রধান কারণ, পাকিস্তানের ফর্ম। দিনের পর দিন হেরেই চলেছে দলটা। ভারতের অবস্থান তো পাকিস্তানের উল্টো। এবারের বিশ্বকাপে ফেবারিটের তকমা নিয়েই এসেছে তারা। প্রতিটি বিভাগে তাদের ম্যাচ উইনার। ইনজামামের আশাবাদকে বাস্তবে রূপ দেওয়াটা যে যথেষ্ট কঠিন, এটা বলাই যায়।
কিন্তু তারপরেও মানুষ তো আশাতেই বাঁচে!