Thank you for trying Sticky AMP!!

বিশ্ব রেকর্ড করেই দুর্বল ট্যাগের জবাব দিল উইন্ডিজ

বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন হোপ-ক্যাম্পবেল। ছবি: ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড
>
  • উদ্বোধনী জুটিতে ৩৬৫ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • সেঞ্চুরি করেছেন ক্যাম্পবেল ও হোপ
  • ১৯৬ রানের জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

৪৩তম ওভারের পঞ্চম বল। লেগ স্টাম্পে পিচ করা বলটি আরও বের হয়ে যাচ্ছিল। শর্ট বল পেয়েও লোভ সামলালেন জন ক্যাম্পবেল। বাউন্ডারি মারার চেষ্টা না করে শুধু প্লেস করলেন, দৌড়ে নিয়ে নিলেন দুই রান। ব্যস, রেকর্ড বই থেকে ফখর জামান ও ইমাম-উল-হকের নামটা কেটে গেল। সে জায়গায় বসে গেল ক্যাম্পবেল ও শাই হোপের নাম। আগের বলেই অবশ্য বিশ্ব রেকর্ড গড়া হয়ে গিয়েছিল এ দুজনের। আরেকটি ২ রানে পাকিস্তানের জুটির পাশে বসেছিলেন তাঁরা, কিন্তু পঞ্চম বলেই ছাড়িয়ে গিয়ে নিশ্চিত করলেন একক রাজত্ব। ওয়ানডেতে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৩ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়েছে উইন্ডিজ। জবাবে ১৮৫ রানে অলআউট হয়ে ১৯৬ রানে হেরেছে আয়ারল্যান্ড। 

আইপিএলের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে বিশ্বকাপের আটজন খেলোয়াড়কে রাখা হয়নি। সে সুবাদে সুযোগ মিলেছে অনেকের, যারা বিশ্বকাপে থাকবেন না। ক্যাম্পবেল, চেজ, কার্টাররা তাই শুধু জাতীয় দলের দায়িত্ব পালনের সান্ত্বনাই শুধু পাবেন। এ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দলকে দুর্বল ভাবতেও বাধেনি কারও। দুই দিন আগে বিশ্বকাপের ফেবারিট ইংল্যান্ড দলকে বিপদে ফেলা আয়ারল্যান্ডও আজ তাই জয়ের স্বপ্ন দেখে মাঠে নেমেছিল। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই সব হিসাব ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর তাতে মূল ভূমিকা রেখেছেন ২০১৯ বিশ্বকাপের দলে না থাকা ক্যাম্পবেল।

পাঁচ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৩০ রান ছিল এই ওপেনারের। ক্যারিয়ারের মোট সংগ্রহই ছিল ৬৯। সব রেকর্ডই আজ ধুয়ে মুছে গেল। কখনো পঞ্চাশ না করা ব্যাটসম্যানটিই আজ দেড় শ ছুঁইয়ে ফেলেছেন ইনিংসের ৭ ওভার হাতে রেখেই! শাই হোপও সে কাজ করেছেন ৪৫তম ওভারে। সেঞ্চুরি ও ফিফটি পাওয়ায় অবশ্য হোপই এগিয়ে ছিলেন। যদিও দুজনেই পুরো ইনিংসে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন। একপর্যায়ে তো দুজনই অপরাজিত ছিলেন ৯৯ রানে!

দুই প্রান্ত থেকে এমন ছন্দময় ইনিংসে যা হওয়ার তা–ই হয়েছে। কখনোই মাত্রা ছাড়ানো আগ্রাসী ব্যাটিং করেননি ৪০ ওভারের আগে। ৪০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ছিল ২৫৯। সেটা যে বিনা উইকেট সেটা বোধ হয় না বললেও চলত। দুই ব্যাটসম্যানই তখন ১২৩ রানে অপরাজিত! শুধু সঙ্গীর চেয়ে ১৯ বল বেশি খেলেছিলেন হোপ। এরপর দুজনই রান তোলার গতি বাড়িয়েছেন। এর আগেই অবশ্য দেশটির উদ্বোধনে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভেঙে গেছে (২০০, চন্দরপল-উইলিয়ামস)। দেশের রেকর্ড ভেঙে বিশ্ব রেকর্ডও হয়ে গেল ৪৩তম ওভারে। যখনই মনে হচ্ছিল, যেকোনো উইকেটেই সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ডও করে ফেলবেন ক্যাম্পবেল-হোপ, তখনই আঘাত।

৪৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ম্যাকার্থির বলে ফিরে গেছেন ক্যাম্পবেল। ১৩৭ বলে ১৫ চার ও ৬ ছক্কায় ১৭৯ রান করা ক্যাম্পবেল আউট হওয়ায় প্রথম উইকেট জুটিটাও থেমেছে ৩৬৫ রানে। ৭ রানের জন্য ২০১৫ বিশ্বকাপে ক্রিস গেইল ও ম্যারলন স্যামুয়েলসের গড়া রেকর্ডটি বেঁচে গিয়েছে আজ। সঙ্গীকে হারিয়ে সম্ভবত উইকেটে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন হোপও। ম্যাকার্থির ওই ওভারেই ফিরেছেন ১৭০ রান করে। তাঁর ১৫২ বলের ইনিংসে ২২ চার ও ২ ছক্কা ছিল।

শেষ দুই ওভারে অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের ৬ বলে ১ রানের ইনিংসের কারণে উইন্ডিজের রানটা ৪০০ ছাড়াল না।