Thank you for trying Sticky AMP!!

ব্যর্থতার জন্য ইরফান দুষলেন ধোনিকে

ছবিটা দুজনের সম্পর্ক নিয়ে ভুল ধারণা দিতে পারে। ফাইল ছবি
>ক্যারিয়ারে সফল হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাননি বলে আফসোস করেছেন সাবেক ভারতীয় পেসার ইরফান পাঠান

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ইনিংসে ৯ উইকেট, অভিষেকের এক বছরের মাথায় অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দল জেতানো। পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচি টেস্টের প্রথম ওভারেই হ্যাট্ট্রিক।


ইরফান পাঠানের শুরুটা হয়েছিল রাজকীয়। পরে ফর্মহীনতার কারণে হোক, কিংবা তাঁকে ব্যাটসম্যান বানানোর জন্য তৎকালীন কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের খামখেয়ালিপনার কারণেই হোক, জাতীয় দল থেকে হারিয়ে গেছেন আস্তে আস্তে। খোদ ওয়াসিম আকরামের কাছ থেকে সুইং শিল্প শেখা এই তারকা সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি বলেই অনেকের মত। কিন্তু ইরফান নিজে এই দলের নন। তিনি এখনো মনে করেন, বোর্ড ও অধিনায়কের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সুবিধা পাননি দেখেই অবসর নিতে হয়েছে তাঁকে।

অনেকেই জাতীয় দলে ফিরে আসার জন্য সহযোগিতা পেলেও পাঠান পাননি। পাঠানের সময়ে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। নাম উল্লেখ না করলেও পাঠানের কণ্ঠ থেকে ঝরেছে ক্ষোভ, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরা হয়েছি। সর্বশেষ ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়ে কে দল থেকে বাদ পড়ে? কে ম্যাচসেরা হয়েই পরের ম্যাচে বেঞ্চে বসে থাকে? আমি বসে থেকেছি। যারা বলে যে আমার সুইং আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছিল, তাদের বুঝতে হবে তখন আমার ভূমিকা বদলে গিয়েছিল। আগে যেখানে শুরুতে বল করতাম, তত দিনে আমাকে প্রথম পরিবর্তী বোলার হিসেবে আনা হতো। আমার এখনো মনে পড়ে, এক বছর ক্রিকেট না খেলেও ঋদ্ধিমান সাহা জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিল। সাহার অনুপস্থিতিতে ঋষভ পন্ত ডাবল সেঞ্চুরি করে। কিন্তু তার পরও ঋদ্ধিমানকে জাতীয় দলে ফেরানো হয়। অর্থাৎ, কিছু খেলোয়াড়কে ঠিকই সহযোগিতা করা হয়। কেউ কেউ সৌভাগ্যবান। কেউ কেউ নয়। আমি সেই দুর্ভাগাদের কাতারে।’

ভালো খেলার পরও ধোনি তাঁর নামে মিডিয়ায় বাজে বকেছেন বলে জানিয়েছেন পাঠান, ‘২০০৮ সালের অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ও বলে বসল, ইরফান ভালো বোলিং করছে না। তাই আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম, গোটা সিরিজে ভালো বোলিং করার পরেও ও কেন এসব বলল? আরও ভালো করার জন্য কী কী করা লাগবে সে ব্যাপারেও পরামর্শ চাইলাম ওর কাছ থেকে।’
এই বছরের জানুয়ারিতে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন পাঠান।