Thank you for trying Sticky AMP!!

ভারতীয় পেসারের 'সর্বনাশ' ঘটেছিল প্রথম দিনেই

ইশান্ত শর্মা ও প্রতিমা সিং। ছবি: টুইটার

‘...তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।’

সর্বনাশ তো কত রকমই হয়। তবে প্রেমের সর্বনাশ মোটামুটি কাঙ্ক্ষিত। প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ার সর্বনাশে ডুবতে চান অনেকে। ভাগ্য সহায় থাকলে ডুবেও যায় কেউ কেউ। ভারতের পেসার ইশান্ত শর্মা তাদের একজন। প্রথম দেখায় প্রেমে পড়েছিলেন, প্রথম দিনেই কাঙ্ক্ষিত মানবীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।

ভারতীয় ক্রিকেটে প্রেমের গল্প কম নেই। বিরাট কোহলি-আনুশকা শর্মা, হার্দিক পাণ্ডিয়া-নাতাশা স্টানকোভিচদের কথা জানেন অনেকেই। তেমনি ইশান্ত-প্রতিমা সিংয়ের ডুবে ডুবে জল খাওয়ার গল্পও তো সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে জানা। ২০১৬ সালে জীবনের বাইশ গজে জুটি বাঁধেন দুজন। এত দিন পর ইশান্ত জানালেন তাঁদের প্রথম দিনের সাক্ষাতের গল্প।

সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজের একটি অনুষ্ঠানে ইশান্ত জানিয়েছেন সেই সর্বনাশের কথা। সেটি ছিল ২০১১ সাল। একটি বাস্কেটবল টুর্নামেন্টে অতিথি হিসেবে গিয়ে প্রতিমা দর্শন হয়েছিল ইশান্তের। প্রতিমা তখন পুরোদস্তুর বাস্কেটবল খেলোয়াড়। ভারত জাতীয় বাস্কেটবল দলের প্রতিনিধিত্ব করা প্রতিমাকে প্রথমবার দেখেই নাকি প্রেমে পড়েছিলেন ইশান্ত। প্রথম দিনের সেই সাক্ষাতেই ৩১ বছর বয়সী এ পেসার ঘণ্টা বাজার শব্দ শুনেছিলেন মনের ভেতর। বিয়ের ঘণ্টা!

ইশান্ত বলেন, ‘এক বন্ধু স্থানীয় এক বাস্কেটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল। সেখানে আমি ছিলাম প্রধান অতিথি। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যাই। আসলে প্রথম দিনেই টের পাই প্রতিমাকে আমি বিয়ে করতে চাই।’

কিন্তু শুধু চাইলে তো হবে না। কাজও করতে হবে। যাঁকে পছন্দ করা হচ্ছে তাঁর নজর কাড়তে অন্তত আশপাশে তো ঘুরঘুর করতে হবে। এ কারণে বাস্কেটবল টুর্নামেন্টে নিয়মিত যেতে শুরু করেন ইশান্ত। বুক ফাটলেও শুরুতে মুখ ফুটে বলতে পারেননি, ভালোবাসি। মনের কথাটা খুলে বলতে প্রায় এক বছর লেগে গিয়েছিল ইশান্তের। ওপাশ থেকে সাড়া মেলায় কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রতিমার সঙ্গে জীবনের গাঁটছড়া বাঁধেন ইশান্ত।

ভারতের হয়ে ৯৭ টেস্ট খেলা এ পেসার সেসব দিনের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘(প্রথম দেখা হওয়ার) পরের দিন থেকেই বাস্কেটবল টুর্নামেন্টে নিয়মিত যেতে শুরু করি। তবে শুরুতে ওর সঙ্গে একটু লাজুক ছিলাম। এমনকি কথাও বলিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের আগে আকারে-ইঙ্গিতে তাকে একবার বুঝিয়েছিলাম, কথা বলা জরুরি। তার পাণিপ্রার্থনা করতেই আমার এক বছর লেগে যায় এবং এরপর প্রস্তাব দিই।’

গত কয়েক বছরে ভারতের সবচেয়ে উন্নতি করা পেসারদের একজন ইশান্ত। টেস্টে ধৈর্য ধরে ব্যাটসম্যানের সামর্থ্যের পরীক্ষা নিতে জানেন। ইশান্ত কি তবে প্রতিমার জন্যই এভাবে ধৈর্য ধরতে শিখেছেন!