Thank you for trying Sticky AMP!!

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতেই আয়োজন করার ইচ্ছা।

ভারতেই বিশ্বকাপ আয়োজনের ইচ্ছা বিসিসিআইয়ের

আইপিএলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টুর্নামেন্টের বাকি অংশটুকু আয়োজন করবে তারা। কিন্তু অক্টোবর-নভেম্বরজুড়ে আরেকটি টুর্নামেন্টেরও আয়োজক তারা। পাঁচ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। এই টুর্নামেন্টের ভাগ্যও ঝুলে গেছে করোনাভাইরাসের কারণে।

আইপিএল ভিনদেশে নিয়ে শেষ করতে রাজি হলেও বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে এখনো দোনোমনা ভারত। ক্রিকেট বোর্ড এখনো আশা করছে, করোনা সংক্রমণের সঙ্গে লড়ে ভারতেই আয়োজন করা সম্ভব এবারের বিশ্বকাপ। আট দলের আইপিএলের খেলোয়াড়, স্টাফদের জৈব সুরক্ষাবলয়ে রেখে নিরাপদে আইপিএল শেষ করা যায়নি। কিন্তু ১৬ দলের বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে সে আশা করছে বিসিসিআই। বোর্ডের সহসভাপতি রাজীব শুক্লা এখনো ভারতেই বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বপ্ন দেখছেন।

ভারতজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যাচ্ছে। মে মাসের মাঝ পর্যায়ে দিনে তিন লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা দিনে চার হাজার ছাপিয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু, রোগীর চাপে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়া, দিনভর শ্মশানে লাইন ও শবদাহের দৃশ্য আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। মে মাসের শুরুতেই আইপিএল স্থগিতের ঘোষণা এসেছে। যে পরিস্থিতি ছিল, তাতে এ বছর আর ভারতে আইপিএল বা বিশ্বকাপ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছিলেন না কেউ।

আইপিএল যে অন্য কোনো ভেন্যুতেই করতে হবে, সেটা দ্রুত মেনে নিয়েছে বিসিসিআই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে পরবর্তী বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকার আদায় করে নেওয়া ভারত বিশ্বকাপ অন্য কোথাও আয়োজন করতে চাইছে না। এদিকে ধীরে হলেও ভারতে করোনা পরিস্থিতি একটু উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। ফলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশাবাদী হয়ে উঠছেন বিশ্বকাপের যেহেতু এখনো চার মাস বাকি, এর মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে।

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছিলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী।

বোর্ড সভাপতি রাজীব শুক্লা সে আশাই দেখছেন। খালিজ টাইমসকে বলেছেন, ভারতেই বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চাইছেন তাঁরা। অন্তত আরও এক মাস তাঁরা পরিস্থিতি বুঝবেন, এরপরই নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, ‘বিষয়টি এখনো আলোচনাধীন। আমাদের প্রথম পছন্দ ভারত। এ কারণে আইসিসির কাছ থেকে আরেকটু সময় চেয়ে নিচ্ছি, এক মাসের মতো, যাতে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। জুন বা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে যদি ভারতের অবস্থা ভালো না হয়, তখন অবশ্যই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেওয়া হবে। যদি ভারতে পরিস্থিতির উন্নতি হয় এবং আমরা যদি পারি, তাহলে ভারতেই বিশ্বকাপ আয়োজন করব।’