Thank you for trying Sticky AMP!!

আজম খান

মঈন খানের ছেলেকে অবসরের পরামর্শ

সাবেক ক্রিকেটারের পুত্রদের নিয়ে আগ্রহ বরাবরই বেশি। প্রথমে আগ্রহ থাকে পিতার পথ ধরে তাঁরা জাতীয় দলে ঢুকতে পারবেন কি না, এ নিয়ে। দলে ঢোকার পর আলোচনা, আসলেই যোগ্যতাবলে ঢুকেছেন নাকি বাবার পরিচয় তাতে ভূমিকা রাখছে। আর দলে ঢোকার পর বাবার সঙ্গে পারফরম্যান্সের তুলনা তো চলেই। রোহান গাভাস্কার, স্টুয়ার্ট বিনিদের গল্পটা ছিল ব্যর্থতার। ওদিকে শন পোলকের গল্পটা সাফল্যের চূড়ায় ওঠার।

অনেক অবশ্য আগেই হাল ছেড়ে দেন, স্টিভ ওয়াহর ছেলে অস্টিন অনূর্ধ্ব-১৯ অস্ট্রেলিয়া দলে খেলার পর ক্রিকেট থেকে ছুটি নিয়ে নিয়েছেন প্রচণ্ড চাপের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে। এদিক থেকে আজম খানের গল্পটা একটু অন্য রকম। সাবেক উইকেটকিপার মঈন খান তনয়কে অবসর নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁর বাবার সতীর্থ।

আজম খান

বিখ্যাত বাবার ছেলেদের মধ্যেও আজম খান একটু ভিন্ন। অন্য সব ক্রিকেটারকে তাঁদের পারফরম্যান্স দিয়ে বিবেচনা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে পর্যাপ্ত প্রতিভা আছে কি না, এ নিয়েই বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন সবাই। কিন্তু ২৩ বছর বয়সী আজমের ব্যাপারে সবার আগ্রহ ছিল তাঁর শারীরিক গড়ন নিয়ে। প্রথম যখন আবির্ভাব ঘটে, তখন আজমের ওজন ছিল ১৩০ কেজির কাছাকাছি!

আজম খান

এ কারণে পিএসএলের দলে তাঁর সুযোগ পাওয়া নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ফিটনেস না থাকার পরও শুধু বাবার পরিচয়ে দলে সুযোগ পেয়েছেন আজম। টি-টোয়েন্টিতে প্রায় দেড় শ স্ট্রাইকরেটও এ আলোচনা থামাতে পারছিল না। নিজের ফিটনেস নিয়ে তাই অনেক কাজ করেছেন আজম। এক বছরের মধ্যে ৩০ কেজি ওজন কমিয়ে এনেছেন। জাতীয় দলে ডাকও মিলেছে তাঁর। ৩ টি-টোয়েন্টি খেলে ৭ বলে ৬ রানে আপাতত থেমে আছে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।

ক্যারিয়ার এখানেই থামিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আকিব জাভেদ। ১৯৯২ বিশ্বকাপ জেতা এই পেসার শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নয়, ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেই অবসর নিয়ে নিতে বলেছেন! এআরওয়াই নিউজকে বলেছেন, ‘আজম খানের হয় ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া উচিত, না হলে নিজেকে ক্রিকেটার বানানো উচিত।’ এআরওয়াই নিউজের ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠান স্পোর্টস রুমে স্ত্রী ফারজানা আকিবকে নিয়ে হাজির হয়ে অবশ্য আরও কয়েকজন ক্রিকেটারকে পরামর্শ দিয়েছেন।

আজম খান

জাতীয় দলের পেসার হাসান আলীর ফিটনেস ঠিক করতে বলেছেন। সোহাইব মকসুদকে সবচেয়ে অলস ক্রিকেটার বলেছেন। হারিস সোহেলকে আজম খানের মতো অলস বলেছেন।

আজম খান অবশ্য হাল ছাড়ছেন না। সামা টিভির সঙ্গে কথোপকথনে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার ব্যাপারে আশাবাদ শুনিয়েছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র ৭ বল খেলেছি। আমি কিছু ভুল করেছি এবং সেগুলো শোধরানোর চেষ্টা করছি। আমার লক্ষ্য হলো আগামী বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নেওয়া।’ গত বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে অবশ্য সুযোগ মিলেছিল তাঁর। কিন্তু ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের বাজে ফর্মে নিজের জায়গা হারিয়েছেন আজম।